চিকিৎসাসেবার বাইরে ৬০ শতাংশ থাইরয়েড রোগী

0
চিকিৎসাসেবার বাইরে ৬০ শতাংশ থাইরয়েড রোগী

দেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন। এসব রোগীর মধ্যে ৬০ শতাংশ চিকিৎসাসেবার আওতার বাইরে। 

শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির (বিটিএস) সপ্তম জাতীয় সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভায় এ তথ্য জানান বক্তারা। এবারের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের থিম ছিল ‘অ্যাপ্রোচ টু থাইরয়েডাইটিস’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ করীম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বারডেমের (একাডেমি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল বারী। 

তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন, যার প্রায় ৬০ শতাংশ চিকিৎসাসেবার আওতার বাইরে। থাইরয়েড গ্রন্থির প্রায় ৯০ শতাংশ প্রদাহজনিত রোগে ভুগছেন।

দেশে থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সোসাইটির বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ফরিদুল আলম।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন এবং থাইরয়েড রোগের বিস্তার রোধে বিটিএসের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. এম এ করীম বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন এবং জন্মলগ্ন থেকে এই সোসাইটি যে জনকল্যাণমূলক কাজ করছে, সেই কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. ফওজিয়া মোসলেম সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন। পাশাপাশি থাইরয়েড রোগের আধুনিক চিকিৎসার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

পরে বিভিন্ন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা থাইরয়েড রোগের ওপর বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে থাইরয়েড রোগের ওপর গবেষণার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন ডা. জেসমিন ফেরদৌস, ডা. পাপিয়া আক্তার, ডা. আফরোজা নাজনীন, ডা. তাপতি মন্ডল, ডা. তানিয়া সুলতানা ও ডা. নাবিল ফাহমি আলী। 

বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির নবনির্বাচিত কমিটি ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ এর সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয় নিনমাসের পরিচালক ও থাইরয়েড বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ. কে. এম. ফজলুল বারী। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানা।

নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. জিনাত জাবিন, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস সাত্তার, ডা. শাহজাদা সেলিম, লে. কর্নেল ডা. মুহাম্মদ আলী আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. এম. সাইফুদ্দিন, ডা. জেসমিন ফেরদৌস, কোষাধ্যক্ষ ডা. রাহিমা পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. আবু বকর সিদ্দীক, বৈজ্ঞানিক সম্পাদক ডা. তাপতি মন্ডল, প্রকাশনা সম্পাদক ডা. পাপরি মুৎসুদ্দী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here