ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দি গ্রামে এক চিকিৎসকের বাড়ি থেকে কেয়ারটেকারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. আবদুল জলিল।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই প্রেস ব্রিফ্রিং করা হয়। সেখানে পুলিশ সুপার জানান, কেয়ারটেকার আব্দুল ওহাব মাতুব্বর (৬৮) হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সন্দেহজনক ভাবে আলামিন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওহাব মাতুব্বরকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। তার দেয়া তথ্যমতে অন্যান্য এলাকা থেকে আরও ২ আসামিকে প্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, বাসায় চুরি করেত গিয়ে কেয়ারটেকার চোরদের চিনে ফেলার কারণে তাকে হত্যা করা হয় বলে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের জিজ্জাসাবাদে স্বীকার করেছেন। নিহত ওহাব মাতুব্বর দীর্ঘদিন প্রবাসী ছিলেন। অবিবাহিত থাকায় বৃদ্ধ বয়সে তার সাথে তেমন কারও যোগাযোগ ছিল না। আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ওহাব মিয়াকে ১ জানুয়ারি ভোরে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রাম থেকে প্রয়াত ডাক্তার জামাল উদ্দিন খলিফার বাড়ির কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বরের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
বাড়ির মালিক জামাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর তার ৩ তলা বাড়িটি ফাঁকা থাকতো। তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। ওই বাড়ির দেখভাল করার জন্য ওহাব মাতুব্বরকে বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ওহাব মিয়াই একাই ওই বাড়িতে বসবাস করতেন।