গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে শরিবার রাতে পুলিশ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার কালামপুর খাজার ডেক এলাকার নুর হোসেনের ছেলে নাজির হোসেন (২৫),একই এলাকার ফজল বেপারির ছেলে রিপন হোসেন (২৩) ও টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার নারায়নপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে হোসেন আলী (৩২)।
পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার তরুণীর মামলার এজাহারে জানা যায়, উপজেলার কালামপুর খাজার ডেক এলাকার রিপনের সাথে এই তরুণীর সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে গত ৪-৫ মাস আগে জানা শুনা হয়। পরে রিপন নানা কৌশলে তরুণীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে চন্দ্রা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে। রিপনের কথা মত গত ১৪ জুলাই সকাল ১১টার দিকে গ্রামের বাড়ী থেকে চন্দ্রা এসে রিপনের সাথে দেখা করে। পরে একটি নাজির হোসেনের ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিক্সায় করে রিপন হোসেন ও আলী হোসেন এদিক সেদিক ঘুরাঘুড়ি করতে থাকে। পরে রিপন নাজির হোসেনকে তরুণীকে চন্দ্রা ত্রিমোড়ে পৌছে দেওয়ার কথা বলে সরে পড়ে। অটোরিক্সা চালক নাজির হোসেন সহযোগি আলী হোসেন আবার তরুণীকে নিয়ে নানা এলাকায় ঘুরে সন্ধ্যার পর কালামপুর খাজার ডেক এলাকার রেলপথের উত্তরের একটি আকাশ মনি গাছের বাগানের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি অন্য কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তরুণীকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার বলে চলে যায়। এসময় তরুণী ওই এলাকায় বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করে আসামীদের নাম ঠিকারা সংগ্রহ করে শনিবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তরুণীর মামলার জের ধরে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশের প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেন বলেও পুলিশ জানান।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, তরুণীর অভিভোগ পাওয়ার পর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নামে। রাতেই তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার আসামিদের গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।