চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোটের মাঠে বিরাজ করছে ককটেল আতঙ্ক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিতই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটা আতঙ্কে দিন পার করছেন এলাকার মানুষ। নৌকার ভোট বাধাগ্রস্ত করতে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তৎপর রয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছে।
জানা গেছে, নির্বাচনে বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনি এলাকা লাভাঙ্গা-সুন্দরপুর ছাড়াও নয়ালাভাঙ্গা, মরদনা, ছত্রাজিতপুরসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ককটেল মজুদ ও বিস্ফোরণ যেন নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের রানিহাটী-চামচন্দ্রপুরহাট এলাকাতেও। এ নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে স্থানীয়দের। ভোটের দিন যতোই এগিয়ে আসছে, আতঙ্ক ততোই বাড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কয়েকটি এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী রয়েছে আতঙ্কের মধ্যে। তাদের অভিমত, ভোটে কে পাস করবে এটা তাদের দেখার বিষয় না। তারা চান নিরাপদে বসবাস করতে।
এ বিষয়ে র্যাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জেলা নির্বাচন অফিস, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্ত্বর, জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের পাশে টেনিস গ্রাউন্ডে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করাসহ যাতে সকলেই ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যেতে পারে এ ব্যাপারে র্যাবের কার্যক্রম সব সময় ছিলো, ভবিষতেও থাকবে। তাই আমরা সবাইকে আশ্বস করে বলতে চাই, আপানারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আমরা ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চত করবো।
অন্যদিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন, বলেন, আমরা কোন ধরণের শঙ্কায় নাই। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে, গোয়েন্দা কাজ করছে। সকলই মিলে সম্বলিত প্রচেষ্টায় আমরা বারবার বসছি। আমরা মনে করি, যে কোনভাবেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোন বিষয়ই এ জেলায় ঘটবে না এবং আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।