চাঁদপুর পৌরসভা ও এলাকা ভিত্তিক কমিটির ব্যবস্থাপনায় শহরের ২০টি স্থানে খুবই আনন্দঘন পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৮ উপজেলায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে জেলাবাসী।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৮টায় চাঁদপুরের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় পৌর ঈদগাহ্ মাঠে। এতে ইমামতি করেন বাহাদুরপুরের পীর মাওলানা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান।
সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় শহরের বাবুরহাট পুলিশ লাইনস্ ময়দানে। সেখানে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করেন। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এণ্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত। নামাজে ইমামতি করেন পুলিশ লাইনস্ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুস সালাম।
এছাড়াও সকাল ৮টায় ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে। সেখানে ইমামতি করেন সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি কেফায়েত উল্লাহ। একই সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে। সেখানে ইমামতি করেন কলেজ মসজিদের খতিব মাওলানা নিজামুল হক।
সকাল ৮টায় প্রথম ও সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় শহরের চিশতিয়া জামে মসজিদ ও হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
সকাল সাড়ে ৮টায় পুরান বাজার মধুসুধন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, এমদাদিয়া মাদ্রাসা, পুরান বাজার হাফেজিয়া মাদ্রাসা, দক্ষিণ গুনরাজদী আহম্মদিয়া ঈদগাহ্ ময়দান, পূর্ব শ্রীরামদী ৩নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, টেকনিক্যাল হাই স্কুল মাঠ, রামদাসদী বায়তুন নুর জামে মসজিদ, শহরের বাস স্ট্যান্ড গৌর-এ-গরীবা জামে মসজিদ, পুরান বাজার ঐতিহাসিক চৌধুরী বাড়ী জামে মসজিদ। সকাল ৮টায় বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, জেলা কারাগার জামে মসজিদ, ওসমানিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদ, পৌনে ৮টায় রেলওয়ে বায়তুল আমিন জামে মসজিদ ও সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন চেয়ারম্যান ঘাটা জামে মসজিদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
পুরান বাজার ৩নং বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। এসব স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত শেষে দেশের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
অপরদিকে জেলার ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে ৩টি ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টা, সকাল ৮টা ও সকাল ১০টায় সর্বশেষ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতের নামাজে ইমামতি করেন বড় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি আব্দুর রউফ।