চাঁদপুরে মা রানু বেগমকে (৫৭) ধান কাটার কাস্তে দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে ছেলে মো. রাসেল (২২)। পরে সে ঘর থেকেই মোবাইল ফোনে মার হত্যার ঘটনা বাবা আতর খাঁনকে জানায়। কিছুক্ষণ পরে আতর খাঁন ঘরে এসে স্ত্রীর নিথর দেহ খাটে পড়ে থাকতে দেখেন।
শনিবার বিকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে ঘাতক রাসেলের বরাত দিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই ইসমাইল হোসেন হত্যার ঘটনার ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাসেলকে উপজেলার কেরোয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেন। রাসেলের দেয়া তথ্য মতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাস্তে ও রক্তমাখা লুঙ্গি ও জামা উদ্ধার করেছে।
এই ঘটনায় শনিবার ছেলেকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন পিতা আতর খাঁন। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, রাসেল তিন মাস ধরে উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা করত। তার পিতা-মাতা নিষেধ করলেও রাসেল তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মারধর করে। বিষয়টি তার পিতা আতর খাঁন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আহমেদ রাজনকে অবগত করলে আসামি তার পিতামাতাকে হত্যা করবে বলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছিল। ২৬ এপ্রিল ভোর ৫টার দিকে রাসেলের পিতা আতর খাঁন কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এই ফাঁকে ঘরে মাকে একা পেয়ে সে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় রাসেল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো: সাইদুল ইসলাম সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরে আসামি রাসেলকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে।