চরে জাপানি মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকছে কৃষক

0

বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতালা ও ধুনট উপজেলার যমুনা ও বাঙালি নদীর চরাঞ্চলে জাপানি মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। দেশি মিষ্টি আলুর চেয়ে ফলন অনেক বেশি হওয়ায় কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই আলু চাষে। চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক বেশ খুশি। 

জানা যায়, তিন উপজেলার যমুনা এবং বাঙালি নদীর কোলঘেঁষে জেগে ওঠা পতিত জমিতে কৃষক আদিকাল থেকেই মিষ্টি আলুর চাষ করে আসছেন। দেশি জাতের মিষ্টি আলুর সঙ্গে এ বছর চাষ হয়েছে জাপানি মিষ্টি আলু। দেশি মিষ্টি আলুর তুলনায় এ জাতের আলুর ফলন দ্বিগুণ হয়ে থাকে। 

সারিয়াকান্দি উপজেলার কৃষক আবদুস সামাদ জানান, ৯ বিঘা জমিতে জাপানি মিষ্টি আলু চাষ করেছেন। তিনি আলু তোলা শুরু করেছেন। জাপানি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিসাপেক্ষে এ জাতের আলুর চাষ করেছেন তিনি। তারা আলুর চারা, সার, কীটনাশক সবকিছু দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। শুধু পরিচর্যা করেছি। ফলে লাভবান হচ্ছি। 

সারিয়াকান্দি কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছিল। এ বছর ৪২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে হেক্টরপ্রতি ১৫ টন। আর জাপানি জাতের মিষ্টি আলু ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। দেশি জাতের আলুর তুলনায় এ জাতের আলুর ফলন খুব বেশি। 

নারুতো জাপান কোম্পানি লিমিটেড চাষিদের মাঝে চারা, সার, বীজ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে এ জাতের মিষ্টি আলুর চাষ শুরু করেছেন দুই বছর আগে। এ কোম্পানি কৃষকদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা মেট্রিক টন দরে আলু ক্রয় করে। এরপর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে জাপান, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকে। 

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, নতুন জাত হিসেবে এবং ফলন বেশি হওয়ায় এ জাতের মিষ্টি আলুর প্রতি কৃষক ঝুঁকছেন। আগামী বছরগুলোতে এ জাতের আলুর চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। মিষ্টি আলুতে নানা ধরনের ভিটামিন থাকায় এটি মানবদেহের জন্য খুবই উপকারি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here