চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা ব্রাজিলের লুলার

0
চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা ব্রাজিলের লুলার

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়া সফরকালে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট লুলা বলেন, বয়স বাড়লেও তার কর্মউদ্যম কমেনি।

তিনি বলেন, “আমার বয়স ৮০ হলেও এখনো আমি ৩০ বছরের মতোই উদ্যমী। আমি ব্রাজিলে চতুর্থ মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।”

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ানতোকে উদ্দেশ করে রসিকতার সুরে তিনি যোগ করেন, “আমি এটা আপনাকে বলছি, কারণ আমাদের অনেকবার দেখা হবে।”

ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রেসিডেন্ট পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর লুলা ২০২৩ সালে ক্ষমতায় ফেরেন। ফলে তিনি আবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য।

এশিয়া সফরে থাকা লুলা ইন্দোনেশিয়া সফর শেষে মালয়েশিয়ায় যাবেন, যেখানে তিনি আসিয়ান (ASEAN) সম্মেলনে অংশ নেবেন।

মালয়েশিয়া সফরের সময় রবিবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ব্রাজিলীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। এটি হবে তাদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ, যা আগের এক সৌহার্দ্যপূর্ণ ফোনালাপের পর অনুষ্ঠিত হবে।

ট্রাম্প ও লুলার মধ্যে সাবেক ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলাসহ বাণিজ্যনীতি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ট্রাম্পের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্কের বিষয়েও দুই নেতা আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

২০২২ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে লুলা জানিয়েছিলেন, সেটিই হবে তার শেষ প্রচারণা। তবে এখন তিনি চতুর্থ মেয়াদের জন্য প্রার্থী হতে আগ্রহী।

ব্রাজিলের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রেসিডেন্ট লুলা বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে বামপন্থার প্রধান মুখ।

যদিও তার বয়স ও স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু রাজনীতিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, লুলা বারবার জানিয়েছেন তিনি সুস্থ ও প্রাণবন্ত আছেন—এমনকি সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত ব্যায়ামের ভিডিওও শেয়ার করেন।

২০২৬ সালের নির্বাচনের জনমতে লুলা এগিয়ে আছেন, যদিও প্রায় অর্ধেক ভোটার তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো অভ্যুত্থানচেষ্টার দায়ে ২৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, বলসোনারোর সমর্থন ছাড়া কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী এখনো দেখা যায়নি।

সূত্র: আলজাজিরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here