চট্টগ্রামের সবুজ উইকেটে কেমন হবে রান?

0
চট্টগ্রামের সবুজ উইকেটে কেমন হবে রান?

বাংলাদেশের ক্রিকেটে উইকেট নিয়ে আলোচনা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট যেন অনেক সময়ই ক্রিকেটারদের কাছে এক রহস্য। বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচদের সমালোচনাও প্রায় নিয়মিত বিষয়। কয়েক মাস আগেই পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন মিরপুরের পিচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
সাম্প্রতিক ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও মিরপুরের উইকেট নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ছিল প্রচুর। স্লো উইকেটে খেলা সেই সিরিজে শেষ পর্যন্ত ২–১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।

এখন দুই দলই টি–টোয়েন্টি সিরিজের জন্য অবস্থান করছে চট্টগ্রামে। তবে এখানে চিত্র একেবারেই ভিন্ন। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) উইকেটে রয়েছে সবুজ ঘাসের আবরণ, যা স্পোর্টিং উইকেটের আভাস দিচ্ছে।

স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার চেষ্টা করা হয়েছে ব্যাট-বলের মধ্যে ভারসাম্য রাখার—যেখানে ১৭০ থেকে ২০০ রানের ইনিংস সম্ভব।
গতকাল সারাদিন উইকেট তদারকি করেন টার্ফ ম্যানেজমেন্ট প্রধান টনি হেমিং ও চট্টগ্রামের পিচ কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। মাঠে দীর্ঘ সময় তাঁদের আলোচনাও নজর কাড়ে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ড্যারেন সামি নাকি চট্টগ্রামের মাঠটিকে সবচেয়ে পছন্দ করেন। তাঁর বিশ্বাস, এখানকার উইকেট হবে একেবারে স্পোর্টিং, যেখানে ব্যাটসম্যান ও বোলার—দুজনেরই সুযোগ থাকবে সমানভাবে।

অন্যদিকে, ওয়ানডে সিরিজ শেষে হঠাৎ করেই ক্যারিবীয় শিবিরে যোগ দেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র একদিনের ব্যবধানে দলে সুযোগ পেয়ে ম্যাচেও প্রভাব ফেলেন তিনি। সেই ম্যাচের পর তিনি মিরপুরের কালো উইকেট নিয়ে মজার মন্তব্য করেছিলেন—
“বাসায় বসে মনে হচ্ছিল টিভির সমস্যা হয়েছে!”

তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন স্পিনার খারি পিয়েরে, যদিও ওয়ানডেতে তাঁর পারফরম্যান্স তেমন উজ্জ্বল ছিল না। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে আগামী ২৭, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর, প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here