ঘূর্ণিঝড় মোখা: সোনাগাজীর চারটি ইউনিয়নকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

0

ফেনীর সমুদ্র উপকূলীয় সোনাগাজীতে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সোনাগাজীর চরদরবেশ, চরচান্দিয়া, সোনাগাজী সদর ও আমিরাবাদ ইউনিয়ন এলাকাকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ চারটি ইউনিয়ন নদী তীরবর্তী হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। চারটি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে প্রস্তত রয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, স্কাউট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সোনাগাজী উপজেলার ৪৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি জানান, সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেড ক্রিসেন্ট, দমকল বাহিনী ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকল সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মাঠে থাকবে ২ হাজার সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, স্কাউট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

নির্বাহী অফিসার বলেন, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ চারটি ইউনিয়নে পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ চারটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে চারজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে এবং উপজেলাব্যাপী আনসারের প্রায় দেড় হাজার সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগের দুই শতাধিক জনবল প্রস্তুত রয়েছে।

রেডক্রিসেন্ট সোনাগাজী উপজেলার টিম লিডার শান্তি রঞ্জন কর্মকার বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় রেডক্রিসেন্টের ১০০ টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি টিমে ২০ জন সদস্য সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন নারী।

চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের পাশাপাশি ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ, আমাদের দলীয় নেতাকর্মী প্রস্তুত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষকে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here