ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে সাতক্ষীরায় বদলি হলেন মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবির। গত ৩০ নভেম্বরের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাতক্ষীরায় বদলির আদেশ আসলে তিনি তার পরদিন ১ ডিসেম্বর রিলিজ হয়ে নতুন কর্মস্থলে চলে যান বলে জানা গেছে। তবে ঘুষ-দুর্নীতির মতো গুরুতর অভিযোগ তদন্তাধীন থাকার মাঝেই তার বদলির আদেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর আগে ‘ঘুষ নিয়ে ভাইরাল সেই শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়নি’ শিরোনামে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন ভার্সনে খবর প্রকাশের পর বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। গত ১৫ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসে এসে অভিযুক্ত আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেন। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত জেলা শিক্ষা অফিসার আলমগীর কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বক্তব্য নেন। তদন্ত কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান। কিন্তু তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে তিনি গত ১ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে সাতক্ষীরা বদলি হয়ে যান।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে সেই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত মাগুরা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, আলমগীর কবীর স্যারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর বদলির আদেশ হয়। ১ ডিসেম্বর তিনি রিলিজ নিয়ে চলে যান। আমি স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম একদিন পরে রিলিজ নেবার জন্য, আমরা একটি ফেয়ারওয়েল দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সেটি না নিয়ে চলে যান।

এদিকে আদেশের কপি থেকে জানা গেছে অভিযুক্ত কর্মকর্তা নিজেই আবেদন করেছিলেন বদলির। আদেশের ৩ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে- যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো।
তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে কি না, এ অবস্থায় অন্যত্র বদলি করা যায় কি না এমন প্রশ্নে তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে। আর অন্যত্র বদলি তো আর আমি করিনি। তাই এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

