ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা সামি বাহাউজ বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রতি ঘণ্টায় দু’জন মা ও প্রতি দুই ঘণ্টায় সাতজন নারী নিহত হন।
তিনি আরও জানান, যুদ্ধ না থামলে সন্তানসহ ঘুমের মধ্যে যেন মৃত্যু হয়, এ প্রার্থনা করছেন ফিলিস্তিনি মায়েরা।
সিমা বলেন, ৭ অক্টোবরের আগে গত ১৫ বছরে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিহত সব বেসামরিক নাগরিকের ৬৭ শতাংশ ছিল পুরুষ এবং ১৪ শতাংশেরও কম ছিল নারী ও মেয়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলায় সেই হিসাব বিপরীত দিকে গড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ অক্টোবর থেকে নিহত বেসামরিক লোকের সংখ্যা গত ১৫ বছরের চেয়ে শুধু দ্বিগুণই নয়, গাজায় নিহত ১৪ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে ৬৭ শতাংশ নারী ও শিশু।
সাম্প্রতিক সংঘাতের আগে গাজায় সাড়ে ছয় লাখ নারী ও মেয়ের তীব্র মানবিক সহায়তা সংকটে ছিলেন। কিন্তু এখন তা ১১ লাখে পৌঁছেছে। যার মধ্যে প্রায় আট লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত নারী রয়েছেন।
সিমা সামি বাহাউজ বলেন, গাজার মায়েরা শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন। যদি শান্তি না আসে তবে ঘুমের মধ্যে যেন বাচ্চাদের কোলে নিয়ে দ্রুত মৃত্যু ঘটে, সেই প্রার্থনা করেন। বিশ্বের কোনও স্থানে মায়েদের এমন প্রার্থনার নিয়ে আমাদের সবার লজ্জা হওয়া উচিত।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক নাতালিয়া কানেম বলেছেন, সংঘাতে আটকে পড়া সব নারী ও মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
কানেম বলেন, আগামী মাসে গাজায় সাড়ে পাঁচ হাজার নারী সন্তান প্রসব করবেন। প্রতিদিন আনুমানিক ১৮০ জন নারী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সন্তান জন্ম দেন। তাদের নবজাতকদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।
গাজায় চার দিনের মানবিক বিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানান কানেম। তিনি বলেন, “জীবন বাঁচাতে ও মানুষের দুর্ভোগের স্রোত থামাতে গাজায় জরুরিভাবে আরও সাহায্য প্রয়োজন।” সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি