ঘরোয়া পদ্ধতিতে হেয়ার হাইলাইট করুন সহজেই

0

হাজার বছর আগে, গ্রিসের রমণীরা হেনা ব্যবহার করে চুল লাল করতেন। আর তাতে সোনার গুঁড়া ছড়িয়ে হাইলাইট করতেন। ফলে চুল দেখাত অন্য সবার চেয়ে আলাদা। যদিও সেসব গল্প এখন পুরনো। তবে হালের রমণীরা হেয়ার কালারের চেয়ে হাইলাইটকেই বেশি প্রাধান্য দেন। মূলত মাথার কিছু চুল গোছা করে পছন্দের রঙে রাঙিয়ে নেওয়াকে হাইলাইট বলে।

অনেকেই মনে করেন হাইলাইট মানে পারলারের ক্ষতিকর উপাদান। ধারণাটি ভুল। তাই তো অনেকেই ক্ষতির ভয়ে হেয়ার হাইলাইট করাতে চান না? কিন্তু সেই দিন গত হয়েছে। এখন পারলারগুলোয় তো বটেই, চাইলে নিজেই নিজের হেয়ার হাইলাইট করাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যদি আগে কখনো চুলে রং করা না হয়ে থাকে, তবে প্রথমেই হেয়ার স্ক্যাল্পের পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। স্ক্যাল্প যদি সেনসিটিভ হয়, তবে জ্বালা করবে। তখন বুঝতে পারবেন চুলে রং করা আপনার উচিত হবে কি না। 

ভালো মানের কন্ডিশনার এবং দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে হেয়ার হাইলাইটার বানাতে পারেন। মিশ্রণটি ঠিক যতটুকু চুল হাইলাইটস করতে চান ততটুকু চুলের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। একটি চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। চুল খোঁপা করে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

২ কাপ ভিনেগার, ১ কাপ বিশুদ্ধ মধু, ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ দারুচিনি অথবা এলাচ গুঁড়া। সব উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে যে চুলগুলো হাইলাইট করতে চান, সেখানে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ বা তোয়ালে দিয়ে চুলগুলো পেঁচিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

হাইলাইট চুলের যত্ন

হাইলাইট চুলের যত্নে সোডিয়াম লরেল সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। যা হাইলাইট করা চুলে খুবই কার্যকরী। এ ছাড়া বিকল্প হিসেবে কালার স্পেসিফিক শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন, এটিও ভালো।

চুলের রং বজায় রাখতে সালফেটমুক্ত হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।

চুলের রং গাঢ় হলে শাইন এনহ্যান্সিং স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।

চুলের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা কতদিন বজায় থাকবে তা নির্ভর করে চুলের যত্নের ওপর।

লেখা : নূরজাহান জেবিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here