ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়েও ২–১ গোলের ব্যবধানে হারলো রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার রাতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এই জয়ে সেরা চারে জায়গা করে নেয় ম্যানসিটি। ৬ ম্যাচে এটি সিটির চতুর্থ জয়। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে চারে। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় হারের ফলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে নেমে গেছে রিয়াল।
ম্যাচের আগে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে ও আর্লিং হালান্ড। কিন্তু চোটের কারণে এমবাপে পুরো ম্যাচেই ছিলেন বেঞ্চে। অন্যদিকে হালান্ড নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলেন—চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৫০তম ম্যাচে করলেন ৫১তম গোল।
রিয়াল শুরুতেই আক্রমণের ধার দেখায়। তিন মিনিটে পেনাল্টি পেলেও ভিএআরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে সেটি হয়ে যায় ফ্রি কিক। ভিনিসিয়ুসের কয়েকটি আক্রমণও লক্ষ্যে পৌঁছায়নি।
২৮ মিনিটে রদ্রিগোর আড়াআড়ি শটে এগিয়ে যায় রিয়াল—৩২ ম্যাচ পর গোলের দেখা পেলেন ব্রাজিলিয়ান। তবে ৩৪ মিনিটেই কর্নার থেকে সমতা ফেরায় সিটি; শেরকির ক্রসে জিভারদিওরের হেড ফিরিয়ে দিলেও রেইলি রিপাউন্ডে গোল করেন।
৩৯ মিনিটে রুদিগারের ফাউলে ভিএআরে পেনাল্টি পায় সিটি। হালান্ড নিখুঁত শটে দলকে এগিয়ে নেন। যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত ডাবল সেভে রিয়ালকে রক্ষা করেন কোর্তোয়া।
বিরতির পর রিয়াল কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ৫০ এবং ৫২ মিনিটে বেলিংহাম ও রদ্রিগো দুজনেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। ৬২ মিনিটে ডকুর বিপজ্জনক শটও আটকান কোর্তোয়া। ৮০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের ভলি ও ৮৫ মিনিটে এন্দ্রিকের ক্রসবারে লাগা শট রিয়ালকে হতাশ করে। যোগ করা সময়ে চাপ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি তারা।
পুরো ম্যাচে রিয়াল ১৬টি শট নিলেও লক্ষ্যে ছিল মাত্র একটি। বিপরীতে সিটির ১২ শটের ৮টিই টার্গেটে।
অন্য ম্যাচে আর্সেনাল ৩–০ গোলে জিতেছে ক্লাব ব্রুগের মাঠে। ৬ ম্যাচে শতভাগ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত করেছে তারা। ননি মাদুয়েকে দুটি এবং গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি একটি গোল করেন।
চ্যাম্পিয়ন পিএসজি অ্যাথলেটিকোর মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে। লেভারকুসেনের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ২–২ ড্র করেছে নিউক্যাসল। বেনফিকার মাঠে ২–০ গোলে হেরেছে নাপোলি। পাফোসের বিরুদ্ধে একই ব্যবধানে জিতেছে জুভেন্টাস। ডর্টমুন্ড ও বোদো/গ্লিমটের ম্যাচ ২–২ ড্রয়ে শেষ হয়েছে।

