পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এই ঘটনার পর প্রথমবারের মতো ক্রিমিয়া উপদ্বীপে পরিদর্শনে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়া ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি ২০১৪ সালে দখল করে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করেছিল।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ছিল ক্রিমিয়া রাশিয়ার সাথে যুক্ত করার ৯ বছর। এদিন পুতিন ক্রিমিয়া উপদ্বীপে উপস্থিত হন। তবে যাওয়ার আগে ঘোষণা দিয়ে যাননি পুতিন।
ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে সেভাস্তপোলের গভর্নর রেজভোঝায়েভ বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ জানেন কিভাবে সারপ্রাইজ দিতে হয়।’
ইউক্রেন থেকে বেআইনিভাবে শিশুসহ বহু মানুষকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শুক্রবার আইসিসির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই পরোয়ানাকে থোরাই পরোয়া করে এই নির্দেশকে ‘টয়লেট পেপার’র সঙ্গে তুলনা করে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বিশ্ববাসীকে কি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানাকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সাধুবাদ জানালেও ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিচারের সম্ভাবনা খুবই কম। কেননা, আইসিসি কোনো ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধানকে গ্রেফতার বা আদালতে আনার ক্ষমতা রাখে না। তাই কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা না গেলে তার শুনানি কখনই হবে না।
এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে, এই মুহূর্তে রাশিয়ায় এমন কেউ নেই যিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের হাতে কড়া পড়ানোর ক্ষমতা রাখেন।