গোসলের সময় বাথরুমে পানি ধীরে আসে! পানির এই কম চাপে খুবই বিরক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই নতুন নির্বাহী আদেশে আগের বিধিনিষেধ বাদ দিয়ে পানির চাপ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তাঁর নতুন নির্বাহী আদেশে বাতিল হয়ে গেল আগের বাধ্যবাধকতা।
পানি সংরক্ষণ ও পরিবেশগত কারণে বাথরুমে পানির চাপ কম রাখার বিধিনিষেধ ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করেন। নিজের প্রথম আমলে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে পানির গতি বাড়ান। তবে পরবর্তীতে জো বাইডেন এসে আবারও ওবামার নীতি ফিরিয়ে আনেন। পানির এই কম চাপ নিয়ে বিরক্ত ছিলেন ট্রাম্প।
পানির এ বাধ্যবাধকতার বিষয়ে ট্রাম্প ১৯৯২ সালের ফেডারেল এনার্জি আইনের ফিরে যাওয়ার কথা জানান। তখন পানির চাপ নিয়ে একটা মানদণ্ড ঠিক করা হয়। যেখানে বলা হয় পানির চাপ প্রতি মিনিটে ২ দশমিক ৫ গ্যালনের (৯ দশমিক ৫ লিটার) বেশি হবে না।
সময়ের প্রেক্ষিতে বাথরুমে স্প্রে এসেছে, অনেক নোজেল সম্বলিত শাওয়ার হেড এসেছে। পানি সংরক্ষণ ইস্যুকে সামনে রেখে ২০১৩ সালে ওবামা প্রশাসন জানায়, বহু নোজেলের শাওয়ার হেড হোক বা স্প্রে হোক, মিনিটে ২ দশমিক ৫ গ্যালনের বেশি পানি যাওয়া চলবে না।
ওই বিধি নিষেধ তুলে দিয়েছেন ট্রাম্প। এখন প্রতিটি নোজেল থেকে প্রতি মিনিটে ২ দশমিক ৫ গ্যালন পানি বের হবে। যদি শাওয়ার হেডে চারটি নোজেল থাকে তবে মিনিটে ১০ গ্যালন পানি আসবে।
এ প্রসঙ্গে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্টদের নেওয়া উদ্যোগের সমালোচনা করে হোয়াইট হাউসের তথ্যপত্রে বলা হয়, ‘অতিরিক্ত নিয়মকানুন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে অবরুদ্ধ করে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে।’
নির্বাহী আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভালোভাবে শাওয়ার নিতে পছন্দ করি। আমার সুন্দর চুলের যত্ন নিতে পছন্দ করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুল ভেজার জন্য ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। পানি আসে টিপ, টিপ, টিপ করে। এটা হাস্যকর।’
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল ‘পারস্পারিক শুল্ক’ সংক্রান্ত নীতি ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে সারাবিশ্ব এখন উত্তাল।