নরুন্নবী গাজী এ পর্যন্ত পাঁচবার বিভিন্ন জায়গাতে চাকরির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কোনোবারই হয়নি চাকরি। তবে এবার প্রথমবারের মতো পুলিশের কনস্টেবল পদে দাঁড়িয়ে চাকরি পেয়েছেন।
আর চাকরির ক্ষেত্রে তো নারীর কথা ভিন্ন। এখনো চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সেভাবে গ্রহণ করা না হলেও সকল প্রতিকূলতাকে ছাড়িয়ে চাকরি পেয়েছেন আশা মনি।
জানা গেছে, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে গোপালগঞ্জে জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে ২৯টি কনস্টেবল পদের বিপরীতে ১ হাজার ৩০৪ জন বেকার তরুণ-তরুণীর আবেদন যাচাই বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা শেষে ২৬৬ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১২০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট ও ২ টাকায় আবেদন ফরম দিয়ে গত ২৮ মার্চ ২৬৬ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিলেও নকল কারার দায়ে ২ জন বহিষ্কার হন। সেখান থেকে ৫৫ জন মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
চাকরিপ্রাপ্ত নরুন্নবী গাজী বলেন, চাকরি পাওয়ায় আমি আমার মা-বাবাকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে সাহস দিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ সুপারকেও ধান্যবাদ জানাই। কারণ তিনি স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগে দিয়েছেন। আমি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে চাই।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা বলেন, ১ হাজার ৩০৪ জনের মধ্যে থেকে ২৯ জনকে বাছাই করা খুবই কষ্টসাধ্য। আমার অন্যান্য কর্মকর্তারা আমাকে এ কাজে সহায়তা করেছেন। তাদের সহায়তায় আমি মেধাবী ও যোগ্যদের বাছাই করতে সক্ষম হয়েছি। এই চাকরিপ্রাপ্ত ২৯ জন তরুণ-তরুণীরা মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশ ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করি।