সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে আফ্রিকার দেশ সুদানে। জীবন বাঁচাতে প্রতিদিন দেশটি ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন দেশও তাদের নাগরিকদের দেশটি থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। এরই মধ্যে সংঘাতে চার শতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে।
বিভিন্ন মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, সুদানে আটকে পড়া ৬৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় ফেরার অপেক্ষায় আছেন। ট্রাভেল পারমিট ইস্যু ও জাহাজের শিডিউল পেতে দেরি হওয়ায় তারা এখনও জেদ্দায় পৌঁছাতে পারেননি।
পোর্ট সুদান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি আনিসুর রহমান শুক্রবার গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পোর্ট সুদানে গত দুই দিন ধরে পরিবার পরিজনসহ অপেক্ষা করছি। তবে কখন জেদ্দার জাহাজে উঠতে পারবো, সেটা কেউ বলতে পারছেন না। আমরা এখানে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছি।’
সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চান। সুদান থেকে জেদ্দায় আসার পর তাদের বাংলাদেশ বিমানের কয়েকটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হবে।
জেদ্দার দুইটি বাংলাদেশ স্কুলে সুদান প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ ও সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ এবং সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুদান প্রবাসীরা যেদিন জেদ্দা পৌঁছাবেন সেদিন থেকেই বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।