গুরুদাসপুরে স্কুল ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে একজনকে ‘গণপিটুনি’

0

নাটোরের গুরুদাসপুরে দুই স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে একজনকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌরশহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের গলির ভেতর এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর ওই ব্যক্তিকে আটকে রাখা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ সদস্য। তার নাম কামরুল হাসান। ঘটনার সময় সাদা পোশাকে ছিলেন। অবিবাহিত এই পুলিশ সদস্য ৮-৯ মাস আগে থানায় যোগদান করেছেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া ছাত্রীর অভিভাবকরা চাইলে মামলাও করতে পারেন।

চাঁচকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা পারভিন জানান, ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে  প্রথমে ওই পুলিশ সদস্যকে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় একটি ধানসেদ্ধ করা চাতালের শ্রমিক জানান, একটি ঘরের ভেতর লুকিয়ে রয়েছেন এক লোক। ঘরে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা পুলিশ সদস্যকে সনাক্ত করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন।

পরে বিদ্যালয়ের সামনের প্রধান সড়কে স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করে। পুলিশ সদস্য পরিচয় দেওয়ার পরও জনরোষ থেকে রক্ষা পান তিনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে বিদ্যালয়ে আনা হয়। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে ওসি মোনোয়ারুজ্জামান গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগটি সত্য নয়। পুলিশ সদস্য কামরুল হাসান বিভিন্ন সময়ে নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে দায়িত্ব পালন করতেন। এ সুবাদে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে তার পরিচয় হয়। রবিবার সাদা পোশাকে ওই ছাত্রীর সাথে সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এসময় দুই ছাত্রী তাদের দেখে ফেলে, বিষয়টি শিক্ষকদের বলে দেওয়ার কথা বলে। যে কারণে তিনি দুই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরেছিলেন। ঘটনা যাই ঘটুক অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি মোনোয়ারুজ্জামান।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর বাবা জানান, এ ঘটনায় মামলা করবেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here