গাড়লে সচ্ছলতা ফিরছে সিংড়ায়

0

নাটোরের সিংড়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গাড়ল পালন। ঘাস ছাড়া তেমন খাবার না লাগায় ছাগল পালনের পাশাপাশি গাড়ল পালনে চাহিদাও বাড়ছে। ৩০টি গাড়ল নিয়ে যাত্রা শুরু করেন আ: কুদ্দুস। বর্তমানে তার খামারে ৯০ টি গাড়ল রয়েছে। তিনি উপজেলার বিয়াস মাবিয়া মোড়ের বাসিন্দা। ২০২০ সাল থেকে গাড়ল পালন করে তিনি এখন স্বাবলম্বী।

উপজেলায় গাড়ল পালন করছেন বামিহালের আ: মান্নান, জোরমল্লিরকা গ্রামের মুনসুর, আগপাড়া শেরকোলের কবির সহ অনেকেই। তাদের দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন গাড়ল পালনে।
 
ভেড়ার একটি উন্নত প্রজাতির নাম গাড়ল। এগুলো দেখতে প্রায় ভেড়ার মতো। দেশি ভেড়ার থেকে এটি আকারে বড়, মাংসও বেশি হয়। মাংসের এসব চাহিদা মেটাতে দেশেই এখন বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেছে গাড়লের খামার। এই খামারে পালন করা হচ্ছে গাড়লের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার ছাগল। কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। 

আব্দুল কুদ্দুস বলেন,‌ ‘গাড়ল পালন আমার সখের পেশা। বছরে ভালো আয় করা যায়। মাঠে চড়ালেই হয়, আলাদা খাবার প্রয়োজন হয় না। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাড়লের বাজার মূল্য ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খামারে সব থেকে বেশি দামি ছাগল হচ্ছে বিটল প্রজাতির। যার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। মাংস সুস্বাদু হওয়াই এবং চাহিদা বেশি থাকায় খামার থেকেই বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি মাংসের দাম ১ হাজার টাকা। 

তিনি আরো বলেন, দুরদুরান্ত থেকে লোকজন এসে তার খামার দেখে যান। বিভিন্ন জেলা থেকে কিনে নিয়ে গিয়ে তারা খামার গড়ে তুলছে। গাড়ল পালন এবং বিক্রয় করে সংসার চালাই। একজন শ্রমিক রাখা হয়েছে, সে সারাদিন মাঠে গাড়ল চড়ায়, সন্ধ্যা নাগাদ ঘরে নিয়ে আসে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, আমরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত টিকাসহ সব ধরনের সেবা দিচ্ছি। এই উপজেলাতে প্রায় ৭/৮ টি গাড়লের খামার রয়েছে। গাড়ল পালনে তেমন কোন খরচ হয়না। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ার কারনে অনেকেই এই গাড়ল পালন করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here