গাজা যুদ্ধবিরতি: সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান চার দেশের

0
গাজা যুদ্ধবিরতি: সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান চার দেশের

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকলেও নানা কারণ দেখিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় চুক্তি রক্ষায় পক্ষগুলোকে নিজেদের অঙ্গীকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে কাতার, মিসর, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। 

যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের পর্যালোচনা করতে চুক্তিতে সম্পৃক্ত দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। 

গতকাল শনিবার মায়ামিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে উইটকফ বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতিটি অংশ বাস্তবায়নে পূর্ণ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। একই সঙ্গে সব পক্ষকে তাদের দায়িত্ব পালন, সংযম প্রদর্শন ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

তবে চুক্তি বাস্তবায়ন ঘিরে এখনো বিভিন্ন টানাপোড়েন রয়ে গেছে বলে বিবৃতিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
 
উইটকফের বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে কিছু অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মানবিক সহায়তা সম্প্রসারণ, জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া, আংশিক সেনা প্রত্যাহার ও সহিংসতা কমে আসা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন ও দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও আলোচনা চলবে।

গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত শুক্রবার ইসরায়েলি বেমার আঘাতে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০০ জনে।

অন্যদিকে, বারবার হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে ইসরায়েল। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, হামাসের পরিবর্তে একটি অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পরিচালনা করবে। সেখানে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here