একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, গাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সেনাদের প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবেই এই কাজ শুরু করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল নেতজারিম করিডোর থেকে তাদের বাহিনী সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। রবিবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ইসরায়েলি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে সেনা সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যুদ্ধবিরতির শুরুতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তরে তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য নেতজারিম অতিক্রম করার অনুমতি দেয়। এলাকা থেকে বাহিনী প্রত্যাহার চুক্তির আরেকটি প্রতিশ্রুতি ছিলো।
রবিবার ইসরায়েল কতজন সেনা প্রত্যাহার করেছে তা স্পষ্ট নয়।
৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি অর্ধেক সময় পার করেছে। পক্ষগুলি একটি চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। ফলে আরও ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে অনেক ফিলিস্তিনি বন্দীও ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাবে।
যদিও পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনায় ধীরগতি রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছিলেন। যারা উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ছিল। কিন্তু মিশনে নিম্ন-স্তরের কর্মকর্তারা ছিলেন। যার ফলে জল্পনা শুরু হয়েছিল যে এটি যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও অগ্রগতি আনবে কিনা। নেতানিয়াহু এই সপ্তাহে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীদের একটি বৈঠক ডাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের অভিযানের সময় আটক ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ধীরে ধীরে মুক্তি দিচ্ছে। এর শত শত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাবে ইসরায়েল। চুক্তিতে বলা হয়েছে যে ইসরায়েলি সেনারা গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে। ২২ তারিখ অর্থাৎ রবিবার, ফিলিস্তিনিদের নেতজারিমের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি কেন্দ্রীয় রাস্তা দিয়ে উত্তর দিকে যেতে দেওয়া হবে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে কোনো ধরনের তল্লাশি করবে না।
চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় থেকে গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার এবং “টেকসই শান্তি” প্রতিষ্ঠার বিনিময়ে সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
সূত্র: এপি