অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যেই পশ্চিম তীর থেকে উৎখাত হতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। দেওয়া হচ্ছে হুমকি।
হালিমা খালিল পশ্চিম তীরের খিরবেত সুসিয়া গ্রামে থাকেন। গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি মধ্যরাতে তাদের বাড়িতে হামলা হয়। পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বাসিন্দারা তার বাড়িতে যায়, তার স্বামীকে মারধর করে। কয়েকদিনের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় এবং একইসঙ্গে বলে দেওয়া হয় বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজেদের হাতে বাড়িটি যেন ভেঙে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতির মধ্যে এখন তারা কোথায় যাবেন, জানেন না অসহায় হালিমা।
এর আগেও এই গ্রামের মানুষদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ইসরায়েলিরা তাদের উঠে যেতে বলেছে। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর থেকে পরিস্থিতি দুঃসহ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ। বস্তুত ওই দিনই ইসরায়েলে হামাস আক্রমণ চালায়। প্রায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয়। ২৩৯ জনকে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে নামে। তারপর থেকেই পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করেছে। সেখানে ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচার বেড়েছে বলে অভিযোগ। প্রায় প্রতিদিনই হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে হালিমাদের।
রিপোর্ট বলছে, গত দেড় মাসে ১৬৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন ওয়েস্ট ব্যাংকে। ইসরায়েলি ফোর্স এসে তাদের হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। আট জনের মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় ইসরায়েলি বাসিন্দাদের মারধরে।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, ১৫টি বেদুইন এবং চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীর অন্তত এক হাজার ১৪৯ জনকে ঘর ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। নিজেদের হাতে গবাদি পশু হত্যা করতে হয়েছে। ভেঙে দিতে হয়েছে বাড়ি। স্থানীয় ইসরায়েলি বাসিন্দারা একাজ করতে বাধ্য করেছে তাদের।
স্থানীয় ইসরায়েলি বাসিন্দারা ফোর্স নিয়ে এসে অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। তারা সঙ্গে করে বুলডোজার নিয়ে আসছে। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা কোথায় যাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে