গত তিন মাসে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে ২২ হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে এই যুদ্ধে। সেখানে বহু সংখ্যক মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতালসহ অসংখ্য বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বহু পরিবারের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এই যুদ্ধে।
তারপরও গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ দেখছে না বলে জানিয়েছে আমেরিকা।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘গণহত্যার মামলা’ বিষয়ে বুধবার এক প্রতিক্রিয়া তিনি এ কথা বলেন। আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক আদালত দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েলের বক্তব্য শুনবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা চায়, গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করতে অবিলম্বে যেন ব্যবস্থা নেয় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে)। যদিও এর আগে আন্তর্জাতিক ফোরামে একাধিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল।
গণহত্যার অভিযোগ আনায় দক্ষিণ আফ্রিকার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দোষারোপকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল সীমান্ত অতিক্রম করে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এরপর থেকে হামলা অব্যাহত রেখেছে তেল আবিব।
১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়নে এ মুহূর্তে এমন কিছু দেখা যায়নি যাকে গণহত্যা বলা যায়।
তিনি আরও বলেন, গণহত্যা নিঃসন্দেহেই একটি ঘৃণ্য কাজ। এই ধরনের অভিযোগকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সূত্র: রয়টার্স, ভয়েস অব আমেরিকা