গাজাবাসীদের ভ্রমণ ভিসা স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

0
গাজাবাসীদের ভ্রমণ ভিসা স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

গাজাবাসীর জন্য সব ধরনের ভ্রমণ ভিসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর। সাধারণত ভ্রমণ ভিসা নিয়ে গাজাবাসীদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নিতে যান।

বেশ কয়েক মাস ধরে এই তালিকায় শিশুর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার ফলে সেই চিকিৎসা ভিসা স্থগিত হল।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক্সে এক পোস্টে বলেছে, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অল্পসংখ্যক অস্থায়ী চিকিৎসা-মানবিক ভিসা দেওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, তা পূর্ণ ও বিস্তারিত পর্যালোচনা করে দেখার জন্য গাজার নাগরিকদের সবরকম ভ্রমণ ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে।”

ফিলিস্তিনি অধিকার গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে।

ফিলিস্তিনি শিশুদের ত্রাণ তহবিল ‘প্যালেস্টাইন চিলড্রেন্স রিলিফ ফান্ড’ এক বিবৃতিতে বলেছে, “গাজা থেকে আহত ও গুরুতর অসুস্থ শিশুদেরকে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতায় এই সিদ্ধান্ত বিপর্যয়কর ও অপরিবর্তনীয় প্রভাব ফেলবে।”

বিবিসি লিখেছে, ভিসা কর্মসূচির সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কট্টর-ডানপন্থি এক ইনফ্লুয়েন্সার এবং ট্রাম্পের সক্রিয় সমর্থক লরা লুমারের একের পর এক পোস্টের পর গাজাবাসীর জন্য ভ্রমণ ভিসা স্থগিতের ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।

গাজার বাসিন্দাদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া নিয়ে কয়েক দিন ধরে লরা লুমার নানা ভাবে প্রচার চালিয়েছেন। অসুস্থদের নিয়ে গাজা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বিমানগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি বলে সরব হয়েছেন লরা।

তিনি তার বিভিন্ন পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গাজার ফিলিস্তিনিদের ভ্রমণ ভিসা দেওয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা হামাসপন্থি এবং..মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ভিসা বন্ধের ঘোষণার পর লরা শনিবার এক্সে এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতিত্ব নেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে ধন্যবাদ জানান।

‘প্যালেস্টাইন চিলড্রেন্স রিলিফ ফান্ড’বলছে, বিদেশে চিকিৎসা প্রকল্পের আওতায় তারা ২০২৪ সালে গাজা থেকে ১৬৯ জন শিশুকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিয়েছে পরিচর্যার জন্য।

গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের শুরু করা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ভূখন্ডটিতে বেশিরভাগ চিকিৎসা অবকাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং চরম খাদ্য সংকট বিরাজ করছে। সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here