গলাচিপায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে সড়কে ফাটল

0

পটুয়াখালীর গলাচিপায় রামনাবাদ নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিকল্প বেরিবাঁধের অভাবে সড়ক ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। উপজেলার রামনাবাদ নদীর তীরে কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, ঐতিহ্যবাহী একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, পুরনো জমিদার বাড়ি, মন্দিরসহ নানা স্থাপনা। 

এছাড়াও ভাঙনের কবলে রয়েছে আবাদি ফসলি জমি, পানের বরজ, মাছের ঘের, দোকানপাটসহ বিভিন্ন কর্মপ্রতিষ্ঠান। যা বর্তমানে প্রতিনিয়তই রামনাবাদ নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। উপজেলা শহরের সাথে ডাকুয়া ইউনিয়ন যুক্ত করেছে চিকনিকান্দী, গজালিয়া, কমলাপুর, বগা, কালাইয়া, দশমিনাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানকে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে ক্রমাগত নদী ভাঙনের ফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাড়িঘর, ফসলিজমিসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। 

এ বিষয়ে আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গলাচিপা প্রেস ক্লাব সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় বলেন, অতি দ্রুত রাক্ষুসে রামনাবাদ নদী থেকে ডাকুয়া ইউনিয়নকে রক্ষা করা দরকার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

ডাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমার এই ইউনিয়নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে অবস্থিত। যদি নদী ভাঙন রোধ করা না হয় তাহলে অচিরেই বিলীন হবে জনসাধরণের ঘরবাড়িসহ রাস্তাঘাট। ইউএনও মহোদয় ভাঙন কবলিত এলাকায় এক হাজার জিও ব্যাগ ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আমাদেরকে ইতিমধ্যে ২ কোটি টাকার কাজের বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকার জায়গাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হচ্ছে। সেখানে দ্রুত ভাঙন রোধে আপদকালীন এক হাজার জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here