গর্ভপাতকালীন ছুটি দিচ্ছে আমিরাতের প্রতিষ্ঠানগুলো

0

সংযুক্ত আরব আমিরাত জুড়ে বহু কোম্পানি গর্ভপাতের সময় ছুটি দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। যা আরব অঞ্চলে কর্মক্ষেত্রের সুস্থতা নীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।

বিশ্বব্যাপী এবং স্থানীয় তথ্য থেকে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জরুরি প্রয়োজনীয়তা সামনে আসে। সেই বিবেচনাতেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তথ্য বলছে, প্রতি ৫ নারীর জনের মধ্যে অন্তত একজনের গর্ভপাতের শিকার হন। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও একই ঘটনা ঘটে।

আরও জানা যায়, মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ কর্মী গর্ভপাতের পর পুনরায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে কোনও ছুটি নেননি বলে জানিয়েছেন।

ইটসহারওয়ে নামের প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরমিন জামুলা বলেন, ছুটি নেওয়া আমাদের অঞ্চলে প্রায়ই অব্যক্ত বিষয়ের উপর আলোকপাত করে। গর্ভপাতের পরদিন যখন বাবা-মায়েরা কাজে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হয়, তখন এটি কর্পোরেট সহানুভূতির এক বেদনাদায়ক অন্ধবিন্দু প্রকাশ করে। আমাদের অঙ্গীকার হলো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান, যাতে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাকে স্বাভাবিক করা যায়। কার্যকর পরিবর্তনকে উৎসাহিত করা যা নারী ও পুরুষ উভয়কেই তাদের ক্ষতির পরে শোক কাটিয়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়।

এই উদ্যোগটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত জুড়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং মানব সম্পদ নেতারা এই নীতি গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

জিনি রিক্রুটমেন্টের প্রিন্সিপাল কনসালটেন্ট মাইরা বেনেট বলেন, ক্লায়েন্টদের সাথে আমার কাজের মাধ্যমে আমি যা দেখেছি, তা থেকে বোঝা যায় যে কিছু প্রতিষ্ঠান গর্ভাবস্থার ক্ষতির জন্য সহানুভূতিশীল ছুটি প্রদান করে। এটি মাতৃত্বকালীন ছুটির মতো দীর্ঘ নাও হতে পারে। তবে এই অঙ্গভঙ্গি নিজেই একটি বিশাল পার্থক্য তৈরি করে। জীবন পরিবর্তনের কিছু প্রক্রিয়ার জন্য বাবা-মায়েদের সময় এবং স্থান দেওয়া প্রকৃত যত্নের পথ দেখায়। এটি একটি বার্তাও পাঠায় যে কর্মীরা মানুষ হিসেবে মূল্যবান, কেবল সংখ্যা হিসেবে নয়।

সূত্র: খালিজ টাইমস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here