গরমের আরাম সুতি কাপড়

0

ভ্যাপসা গরম, প্রচন্ড রোদ। যেভাবেই বোঝানো হোক না কেন, অনুভূতি কিন্তু একটাই- গরম। প্রকৃতি মাঝেমধ্যে বৃষ্টির ছোঁয়া দিচ্ছে। তারপরও কাটেনি গরমের প্রভাব। এ সময়ে পোশাকটা কেমন হবে? এ সম্পর্কে বলতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। ছোট থেকে বড়; সবাই এক মত যে, গরমে আরামের ভুষণ সুতি পোশাক।

সুতির কাপড় খুব হালকা এবং নরম হয়ে থাকে। যার ফলে সারা দিন পরে থাকার জন্য সুতি কাপড়ই স্বাচ্ছন্দ্যময়। সুতি কাপড় খুব মসৃণ হওয়ার কারণে অস্বস্তি বোধ হয় না একদমই। এ ছাড়া প্রচন্ড এই গরমে শরীরে ভালোমতো বাতাস চলাচল করতে সাহায্য করে সুতি কাপড়ের পোশাক। অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় সুতি কাপড়ের নানান রকম ফ্যাশনেবল জামা পরিধান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সুতির কাফতান এখন বেশ জনপ্রিয় এবং স্টাইলিশ।

দেশীয় কিংবা পাশ্চাত্য-পোশাকটার কাটছাঁট যে দেশেরই হোক না কেন, কাপড় হতে হবে পাতলা। ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে যেন আরামটাও পুরোপুরি পাওয়া যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শিফন, সুতি, ক্রেপ, জর্জেট, সিল্ক, লিনেন, ভালো মানের নেটের তৈরি পোশাকগুলোতে আরাম পাওয়া যাবে বলে জানান ডিজাইনাররা। সুতির কাপড় সব থেকে আরামের হলেও সেটি সব জায়গার জন্য মানানসই নয়। শিফনের কাপড় এ ক্ষেত্রে হতে পরে আদর্শ বাছাই। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ সবকিছুতেই আভিজাত্য নিয়ে আসবে। মানিয়ে যাবে দিনে ও রাতে দুই সময়েই। শিফন খুব আকর্ষণীয় কাপড়। অনেক জমকালোভাবে ব্যবহার করা যায়। যদি শিফন বা জর্জেটের কামিজ বানিয়ে নিতে চান, তাহলে ভেতরের শেমিজটা পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে বানিয়ে নিলে ভালো হয়। শিফন শাড়ির সঙ্গে নানা ধরনের ব্লাউজই ব্যবহার করা যায়। একটা চকচকে ভাব চলে আসে।

কেমন হবে পোশাকের রং

গরমে হালকা রঙের পোশাক পরাই ভালো। হালকা নীল, সাদা, গোলাপি, লেমন, হালকা বেগুনি, আকাশি এসব রঙের পোশাকই গরমে আরামদায়ক। তবে অনেকেই উজ্জ্বলতার ছোঁয়া রাখতে চান পোশাকে। এ সময়টাতে কুর্তি সব কমবেশি নারীই পরতে পছন্দ করেন। লম্বা কামিজ অথবা গোল হলেও আরামদায়ক হয় কুর্তি। রং ও ডিজাইনের পার্থক্যে সুতি বা হালকা ফেব্রিক্সের কুর্তি বেছে নিতে পারেন গরমে।

আরাম পাবেন যেভাবে

হুটহাট বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও শিফন শুকিয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। তবে দৈনন্দিন দৌড়ঝাঁপের জন্য শিফন নয় বলে জানান মারিয়া সুলতানা। কারণ, এটি খুব নাজুক ধরনের কাপড়। এজন্য জর্জেটের কাপড় পরতে পারেন। তবে পাতলা বলে জর্জেট অনেকেই পরতে আরামবোধ করেন না। এ ক্ষেত্রে শিফন বা জর্জেটের কামিজ বানালে ভেতরের শেমিজটা পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। শিফন শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের দৈর্ঘ্য একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন। সব রকম নকশা আসলে চাইলেও শিফন কাপড়ের ওপর করা যায় না। মেশিন এমব্রয়ডারি করে হালকা চুমকির কাজ দেওয়া যায়। শিফনে যদি জমকালো ভাব আনতে চান, তাহলে ব্লাউজে ভারি কাজ করিয়ে নিতে পারেন। দাওয়াতে পরতে চান এমন শিফনের শাড়িতে আধা ইঞ্চি বা এক ইঞ্চি চিকন পাড় ও হালকা পাথর বসিয়ে নিতে পারেন।

গরমে পোশাকের প্যাটার্নে স্লিভে বেছে নিতে পারেন বেল স্লিভ, ফ্রিল দেওয়া স্লিভগুলো। ঠিক কনুই পর্যন্ত নয়; বরং কনুই ছাড়িয়ে খানিকটা নিচ পর্যন্ত কাটিং পছন্দ এখনকার ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের। নেক লাইনে ফিতা বা বোতামের ব্যবহার আর কুর্তির ক্ষেত্রে নেক লাইনে করতে পারেন নতুন নকশার নতুন কোনো নিরীক্ষা। এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, নিচের অংশের কাটিং কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পোশাকে নতুনত্ব নিয়ে আসা যেতে পারে মুন শেইপ, ওভাল শেইপ আবার কখনোবা পেছনের অংশে ঝুল রাখা। মানে সমান করে নয়, বরং বড়-ছোট করে প্যাটার্নের চল চলছে গরমে আরাম ফ্যাশনে।

দেশের অন্যতম ফ্যাশন হাউস বর্ণন তাদের সালোয়ার কামিজের প্যাটার্নে রেখেছে নতুনত্ব। কাটিংয়ের ক্ষেত্রে ভিন্নতা নজর কাড়ছে তরুণীদের। সালোয়ার কামিজের ক্ষেত্রে  স্ক্রিন ও কারচুপি, ব্লক ও এমব্রয়ডারিসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনেক রঙের সমাহার যেমন আছে তেমনই ম্যাচিং ডিজাইনেও করা হয়েছে কামিজগুলো। সালোয়ার কামিজের পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন রকম টপস ও সিঙ্গেল কামিজ পাওয়া যাচ্ছে অঞ্জন’স-এ। আর লিনেন কটন কাপড়ের উজ্জ্বল রঙের এই টপসগুলোতে ডিজাইন ও প্যাটার্নে আছে নতুনত্ব।

লেখা : ফেরদৌস আরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here