বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব পড়েছে বড় পাইকারি কাপড়ের হাট নরসিংদীর শেকেরচর বাবুরহাটে। গ্যাস, বিদ্যুৎ আর রং-সুতার দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে কাপড়ের দাম। তাই বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। ঈদ উপলক্ষে নিত্যনতুন বাহারি ডিজাইনের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসলেও আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। তাই হতাশ হাটের ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানাবিধ কারণে কাপড় কেনায় মানুষের আগ্রহ কমছে। ফলে পাইকারি ক্রেতারা তুলনামূলক কম কাপড় ক্রয় করছে। এসব কারণে বাবুর হাটের সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে কোটি কোটি টাকা। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, প্রতি সপ্তাহে হাটে দুই থেকে আড়াই শত কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।
কাপড় ব্যবসায়ী রঞ্জিত সাহা বলেন, প্রতিটা কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ বছর ঈদের বেচাকেনা খুব খারাপ। গত ১০/১৫ বছরে ঈদের মার্কেটে এত খারাপ বেচাকেনা হয়নি। গ্যাস বিদ্যুৎ আর রং সুতার দাম বৃদ্ধিতে ড্রাইং প্রিন্টিংয়ের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন ব্যয়। এতে হাটের প্রতি পিস শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিসে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। থান কাপড়ে প্রতি গজে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। যার কারণে এখন কাপড়ের বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম।
পাইকারী ক্রেতা মোসাম্মত ফরিদা খাতুন বলেন, গাজীপুরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আমি সব সময় বাবুরহাট থেকে পাইকারি কাপড় ক্রয় করি। এর কারণ এক হাটেই সব ধরনের কাপড় পাওয়া যায়। দামও তুলনামূলক কম।
বাবুরহাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এবারের রমজান জুড়ে প্রতি হাটে গড়ে লেনদেন হচ্ছে আড়াইশ কোটি টাকা। এবারের রমজান জুড়ে বাবুরহাটে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার লেনদেনের আশা করছেন বণিক সমিতির এই নেতা।
বাবুরহাট বাজার বণিক সমিতি সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাটকে সিসি টিভির আওতায় আনা হয়েছে।