ক্রিকেটে স্থায়ী হচ্ছে নতুন আইন, ৬০ সেকেন্ড পার হলেই জরিমানা!

0

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরপরই আইসিসি জানিয়েছিল, ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ক্রিকেটে ‘স্টপ ক্লক’ পদ্ধতি চলবে। নতুন খবর, আগামী জুনে অনুষ্ঠিতব্য টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই নিয়মটি প্রয়োগ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি স্থায়ী হতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, সাদা বলের ক্রিকেট তথা টি–টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে এই নিয়ম চালু করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ করাই এর উদ্দেশ্য। ভারতীয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ক্রিকেটের নতুন এই নিয়মটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে ফল পেয়েছে বলেই এটি এখন স্থায়ী করতে চাচ্ছে আইসিসি। দুবাইয়ে চলমান সংস্থাটির বৈঠকে নিয়মটি অনুমোদন করা হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাটসম্যানদের পিচে বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়, নইলে ‘টাইমড আউটে’ কাঁটা পড়বেন তারা। 

স্টপ ক্লকের প্রাথমিক নিয়ম অনুযায়ী— বোলাররা প্রতি ওভারের মাঝে সর্বোচ্চ ৬০ সেকেন্ডের বিরতি দিতে পারবেন। এক ইনিংসে যদি তিনবার এর চেয়ে বেশি সময় দেরি করা হয়, তাহলে ফিল্ডিংরত দলকে ৫ রান পেনাল্টি করা হবে। ওই ৫ রান যোগ হবে ব্যাটসম্যানদের দলে। ম্যাচ ভেন্যুতে প্রদর্শনীয় একটি স্থানে একটি ইলেকট্রনিক ঘড়ি থাকবে, যেখানে প্রতি ওভারের মাঝে ৬০ থেকে ক্রমান্বয়ে শূন্য পর্যন্ত সেকেন্ড গণনা করবে।

গত ডিসেম্বর থেকে এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর বিষয়টি পরীক্ষার জন্য প্রতি ওভারের মাঝে ঘড়িতে সময় দেখা হবে। আর সেজন্য এটিকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্টপ ক্লক’ পদ্ধতি। সে অনুসারে- বোলিংকারী দলকে পরের ওভার শুরু করতে হবে পরবর্তী ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে। এর ভেতর ওই দল বল করতে প্রস্তুত না থাকলে, আম্পায়াররা তাদের সতর্ক করবেন। এভাবে নির্ধারিত এই সময়টা তিনবার অতিক্রম করে গেলে তাদের জরিমানা হিসেবে দিতে হবে ৫ রান।

একইসঙ্গে সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ওই ঘড়ি বন্ধ থাকবে–

# নতুন ওভারের মাঝে যখন কোনো নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে আসবেন
# যখন আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচের মাঝে ড্রিংকস বিরতি চলবে
# কোনো ব্যাটসম্যান কিংবা ফিল্ডারের ইনজুরির কারণে মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময়ে
# ফিল্ডিংরত দলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেকোনো কারণে সময় নষ্ট হলে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here