কোন্দল মেটাতে ঢাকায় ডাকা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাদের

0

টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ অনেক জেলা-উপজেলায় অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কোন্দলে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ সংসদীয় আসনেই নানা শাখা-উপশাখায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবার নড়েচড়ে বসেছে হাইকমান্ড। ক্ষমতার আধিপত্য, রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে একতা ফিরিয়ে আনতে ঢাকায় তলব করা হচ্ছে জেলা-উপজেলার নেতা এবং দলীয় সংসদ সদস্যদের।

জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। দলীয় প্রধানের নির্দেশনার পর তৎপর হয়ে উঠেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলাকে ডাকার সম্ভাব্য তারিখ দেওয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানিয়েছেন।

বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর আর কোন্দল থাকার কথা নয়। তারপরও আমরা খোঁজখবর রাখছি। সাংগঠনিক শৃঙ্খলার প্রয়োজনে ঢাকায় ডেকে কোন্দল নিরসন করা হবে।’

সূত্রমতে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য আওয়ামী লীগের কৌশল ছিল ভোটের মাঠ উন্মুক্ত করে দেওয়া। দলের এ সিদ্ধান্তের কারণে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল- সব স্তরের নেতারা এবার প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পান। এবারের নির্বাচনে অন্তত ২২০টি আসনে ৩৫০-এর বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যার মধ্যে ২৬৯ জনই ক্ষমতাসীন দলের। প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই নৌকার প্রার্থীদের সঙ্গে তাদের বিরোধ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। কিন্তু পরিস্থিতি আরও নাজুক হয় নির্বাচনের পর। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন, যেটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। এ নিয়ে বিরোধ এখনো কাটেনি। সর্বশেষ ভোটকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়। খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘জেলা-উপজলো নেতাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে। মার্চ থেকেই ঢাকায় ডাকা হবে জেলা নেতাদের। আমরা শক্তিশালী সংগঠন দেখতে চাই। সাংগঠনিক প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, তবে তা যেন প্রতিহিংসায় পরিণত না হয় সেজন্য দিকনিদের্শনা দেব।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here