কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বাল্যবিয়ে রোধ সম্পর্কে বলেন, বাল্যবিয়েকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। দেশের যেখান থেকেই জন্মনিবন্ধন করে নিয়ে আসুক না কেন, কাজী সাহেবরা যদি যাচাই-বাছাই করেন তাহলেই সম্ভব একে রোধ করা। কোনো অজুহাতেই বাল্যবিয়ের দিকে ধাবিত করা যাবে না।
এফিডেভিটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে এফিডেভিট একেবারেই ভিত্তিহীন জিনিস। একজন ল’ইয়ার একটি কাগজে একটা কিছু লিখে দিল তাতে কী এসে যায়, এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর আইনগত ন্যূনতম কোনো ভিত্তি নেই। বাংলাদেশের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণ এ কাজ করেন না। যেটা হয়, উকিলের কাছে গিয়ে একটি এফিডেভিট করে নিয়ে আসেন; একটি নোটারি পাবলিক করে নিয়ে আসেন। কোর্ট ম্যারিজ বলে কোনো ম্যারিজ নেই।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউছুফ হাসানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মহাসীন সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রীনা, ওসি মো. জয়নাল আবেদীন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন খন্দকার, মুক্তিযোদ্ধা মো. হুমায়ুন কবীরসহ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবন্দ প্রমুখ।