কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রবি ও বোরো মৌসুমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬ হাজার ৭শ’৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। বীজের মধ্যে রয়েছে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, পেঁয়াজ, মসুর, খেসারী, মুগ, চিনাবাদ, উপশী বোরোধান ও হাইব্রিড বোরোধান। রাসায়নিক সার ডিএপি ও এমওপি।
বৃহস্পতিবার(১৮ ডিসেম্বর)কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, কৃষক প্রতি গম বীজ ২০ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি এবং এমওপি সার ১০ কেজি বিতরণ করা হয়েছে।গমে ৫শ’ জন কৃষক প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ-সার পেয়েছেন।
সরিষায় এ মৌসুমে ৬ শ’ কৃষককে প্রণোদনার বীজ-সার দেওয়া হয়েছে। কৃষক প্রতি ১ কেজি করে সরিষার বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সূর্যমূখীতে ৪৫ জন কৃষক ১ কেজি করে সূর্যমূখী বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও এমওপি সার পেয়েছেন। চিনা বাদামে ৩০ জন কৃষক ১০ কেজি করে চিনা বাদম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার পেয়েছেন। পেঁয়াজে ৫৫ জন কৃষকের হাতে ১ কেজি করে পেঁয়াজ বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। ৬০ জন কৃষক মুগডালে প্রণোদনা পেয়েছেন। প্রত্যেকে পেয়েছেন ৫ কেজি করে মূগ ডালের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার । মসুরে ১৩০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে মসুর বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। খেসারীতে ২১০ জন কৃষককে ৮ কেজি করে খেসারী বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ৫ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বোরোধনের বীজ দেওয়া হয়েছে। উপশী বোরো ধানে প্রণোদনা পেয়েছেন ১৩০ জন কৃষক। কৃষক প্রতি ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় প্রেণোদনার সব বীজ-সার বিতরণের তথ্য জানিয়ে আরো বলেন, রবি মৌসুমে বীজ সার পেয়ে কৃষক ৫শ’ বিঘায় গম, ৬শ’ বিঘায় সরিষা, সূর্যমূখী ৪৫ বিঘায়, চিনা বাদাম ৩০ বিঘায়, পেঁয়াজ ৫৫ বিঘায় , মুগডাল ৬০ বিঘায় , মসুর ১শ’৩০ বিঘায়, খেসারী ২শ’১০ বিঘা জমিতে আবাদ বৃদ্ধি করবে । এছাড়া ৫ হাজার বিঘা জমিতে হাইব্রিড বোরোধান ও ১শ’৩০ বিঘা জমিতে উপশী হাইব্রিড ধানের আবাদ বাড়াবেন। এতে কোটালীপাড়া উপজেলার ৬ হাজার ৭শ’৫০ বিঘা জমিতে রবি ফসল ও বোরোধানের আবাদ বৃদ্ধি পাবে। এ উপজেলায় রবি মৌসুমে এসব ফসলের উৎপাদন বাড়বে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

