কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

0
কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

পাঁচজন আরোহী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে পড়ে থাকা ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিল ওশানগেটের টাইটান নামক একটি ডুবোযান।

দীর্ঘ প্রায় ১১১ বছর আগে নিমজ্জিত ওই জাহাজটি দেখতে ২০২৩ সালের ১৮ জুন ডুব দেয় টাইটান। কিন্তু সাগরে ডুব দেওয়ার ৯০ মিনিট পর ১২,৫০০ ফুট নিচে পানির প্রচণ্ড চাপে ধ্বংস হয়ে যায় সেটি।

দুর্ঘটনার দুই বছরের বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল ও ত্রুটিপূর্ণ প্রকৌশল ব্যবস্থাপনার কারণেই ওশানগেটের টাইটান বিস্ফোরিত হয়েছিল। ছোট আকৃতির ওই ডুবোযানে পাঁচ আরেহীর মধ্যে ওশানগেটের প্রধান নির্বাহীও ছিলেন। 

ডুবোযানটির পিছনের অংশের প্রকৌশল প্রক্রিয়া পর্যাপ্ত ছিল না বলেই মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড। ওই অপর্যাপ্ত প্রক্রিয়ার কারণেই যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়েছিল ডুবোযানটি। এর অর্থ হচ্ছে সমুদ্রের তলদেশে স্থায়ীত্বের জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তা পূরণে ব্যর্থ হয়ে যানটি ফেটে যায়। এছাড়া টাইটানটির পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাব ছিল বলেও জানিয়েছে এনটিএসবি। 

তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমুদ্র তলদেশে টিকে থাকতে যে শক্তির প্রয়োজন সে বিষয়ে আগাম কোনও সতর্কতা ছিল না। যখন যান্ত্রিণ ত্রুটি শুরু হয় তখন যানটির চালক সে বিষয়টি জানতে পারেনি। সঠিক পরীক্ষা করা থাকলে তারা জানতে পারতো যে যানটি পরিষেবার উপযোগী নয়। 

২০২৩ সালে নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস এবং কানাডার ল্যাব্রাডর থেকে প্রায় ৩৭২ মাইল সমুদ্রের গভীরে যাত্রা শুরু করে টাইটান। উদ্দেশ্য ছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছানো। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here