কেন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে আত্মহত্যা?

0

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সেক্রেটারি জাভিয়ের বিকেরা বলেছেন, ‘১০ জনের মধ্যে ৯ জন মার্কিনিই বিশ্বাস করেন আমেরিকা মানসিক স্বাস্থ্য সংকটে ভুগছে।’ তার মতে অধিকাংশ মার্কিনিই এখনো বিশ্বাস করেন, ‘সাহায্য চাওয়া দুর্বলতার লক্ষ্মণ।’ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে এমন তথ্য প্রকাশ করার পরই এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

ক্রিস্টিনা উইলবার (৪৫) নামের এক নারীর সন্তানও বন্দুক দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। বর্তমান তথ্য দেখে তিনিও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তার মতে, দ্রুত এই বর্ধমান আত্মহত্যা পরিসংখ্যানের লাগাম টানা উচিত। 

তবে আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশনের গবেষণা বিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিল হারকাভি-ফ্রাইডম্যান বলছেন, বন্দুকের সহজলভ্যতাই এই আত্মহত্যার বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি। 

সম্প্রতি জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশ্লেষণেও দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকঘটিত আত্মহত্যার পরিমাণ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। জিল হারকাভি-ফ্রাইডম্যান বলেছেন, ‘আমি জানি না কীভাবে আপনি আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে নিশ্চুপ থেকে আত্মহত্যা সম্পর্কে কথা বলবেন?’

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সিডিসির তথ্যে দেখা গেছে, গত বছর (২০২২) দেশটি ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। ২০০০ সালের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকে আত্মহত্যা প্রবণতা। এর আগে আত্মহত্যার সর্বোচ্চ রেকর্ডটি হয়েছিল ১৯৪১ সালে। ওই বছর ৪৮ হাজার তিনশ’র মতো মানুষ আত্মহত্যা করেছিলেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। 

সূত্র: আল জাজিরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here