কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তথ্য ও অর্থনীতি নিয়ে গুগল প্রধানের সতর্কতা

0
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তথ্য ও অর্থনীতি নিয়ে গুগল প্রধানের সতর্কতা

মানব ইতিহাসের অন্যতম বড় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এনেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। নানা জটিল কাজ দ্রুত, দক্ষ ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করে মানুষকে সহায়তা করছে এই প্রযুক্তি। তবে এর সম্ভাবনার পাশাপাশি রয়েছে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিও।

গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তথ্যগত ও অর্থনৈতিক, এই দুই ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের প্রতি বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। 

তার মতে, যাচাই না করে এআই-এর তথ্য ব্যবহার করা বড় ধরনের বিভ্রান্তি ও ভুল সিদ্ধান্তের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি, এআইকে কেন্দ্র করে বিশাল বিনিয়োগ ও বাজার-বুম তৈরি হয়েছে। এটি কোনোভাবে ধসে পড়লে বা বুদ্বুদ ফেটে গেলে শুধু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবে অর্থনীতি, বাজার এবং অন্যান্য খাতও। 

সুন্দর পিচাই বলেছেন, এআই মডেল যেকোনো তথ্যে ভুল করতে পারে। এগুলো ব্যবহার করার সময় অন্যান্য তথ্যসূত্রের সঙ্গে যাচাই করে ব্যবহার করা জরুরি।

তার মতে, এআই-এর এই সীমাবদ্ধতা বুঝিয়ে দিচ্ছে একটি সমৃদ্ধ তথ্যব্যবস্থা থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পিচাই বলেন, এ কারণেই মানুষ গুগল সার্চ ব্যবহার করে। গুগলের এর সঙ্গে আরও অন্যান্য পরিষেবাও রয়েছে, যেগুলো নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম। 

আলাপকালে, সুন্দর পিচাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি ‘একটি অসাধারণ মুহূর্ত’ বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে এআই-এর উত্থানের মধ্যে কিছু অযৌক্তিকতাও রয়েছে।  

এ বিষয়ে উচ্চ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে বিপুল বিনিয়োগ, অস্বাভাবিক গতিতে কোম্পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। তার মতে এআই ঘিরে প্রত্যাশার বুদ্বুদ (বাবল) তৈরি হয়েছে। 

পিচাই বলেন, এই বুদ্বুদ ফেটে গেলে কোনও কোম্পানিই নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে না। এমনকি গুগলও।

গুগলের কনজিউমার এআই মডেল জেমিনি-৩-এর নতুন প্রযুক্তিও নজর কাড়ছে। ধীরে ধীরে এটি চ্যাটজিপিটির বাজারের অংশ দখল করতে শুরু করেছে।

সূত্র: বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here