কুষ্টিয়ায় লাইসেন্স ছাড়াই সার মজুদ, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

0

পিয়াজের ভরা মৌসুমেও নন-ইউরিয়া টিএসপি, এমওপি, ডিএপি সার পাচ্ছেন না কৃষকরা। আবার কোথাও সার পেলেও গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এ চিত্র কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। অথচ এক লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীর গুদামে পাওয়া গেল প্রায় ২০০ বস্তা সার। এ সময় লাইসেন্সবিহীন সার মজুদ করার অপরাধে ওই ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মজুদকৃত সার ন্যায্য মূল্যে প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বিক্রির নির্দেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের গদের বাজার এলাকায় অভিযান চালায় প্রশাসন। সার ব্যবস্থাপনা আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।

আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম ও থানা পুলিশ। 

জরিমানা করা ওই ব্যবসায়ীর নাম জাকির হোসেন (৪১)। তিনি গদের বাজার এলাকার মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষকরা জানান, পিঁয়াজের চারা রোপনের মৌসুম চলছে। তবে নন-ইউরিয়া সারের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। নিবন্ধিত ডিলাররা পরিমিত সার দিচ্ছে না। আর অনিবন্ধিত ব্যবসায়ীরা সার মজুদ করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন। তাদের ভাষ্য, এক হাজার ৩৫০ টাকা মূল্যের ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সার কিনতে হচ্ছে এক হাজার ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, এক হাজার ৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা এমওপি সার কিনতে হচ্ছে এক হাজার ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। আর এক হাজার ৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা ডিএপি সার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩৫০ টাকায়।

সার বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, কৃষকদের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থান থেকে বেশি দামে সার কিনেছি। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লোকসান হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল বলেন, বছরজুড়ে ভালো দাম থাকায় এবছর পিঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। চলতি বছর এ উপজেলায় চার হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কিছুটা সারের সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স ছাড়াই সার মজুদ করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও মজুদকৃত সার কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ন্যায্যমূল্যে প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বিক্রির নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here