কুমিল্লার মেঘনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নিহত

0

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কামরুল ইসলাম নামের এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। 

সোমবার চালিভাঙ্গা বাগবাজার নদীর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মো. কামরুল চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে। 

জানা গেছে, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও জেলা পরিষদ সদস্য জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের দুইটি গ্রুপ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্বে জড়িত। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে কাইয়ুম গ্রুপ ও চেয়ারম্যান হুমায়ুন গ্রুপের সংঘর্ষে চেয়ারম্যানের ভাই নিজাম সরকার নিহত হন। এঘটনার পর থেকে কাইয়ুম গ্রুপের সকল নেতাকর্মী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পুলিশের একটি ক্যাম্প করা হয় চালিভাঙ্গায়। ক্যাম্প করার পরদিন সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সবাই বাড়িতে ফিরতে থাকে। দুপুর ১২ টার পর বাগবাজার নদীর ঘাটে আসলে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান কামরুল। এ ঘটনায় আহত ছয়জন হলেন চালিভাঙ্গা এলাকার মো. দাইয়ান, মো. কাদির হোসেন মেম্বার, মো. সোহেল, মো. কাউসার ও মুরাদ হোসেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেন বলেন, লোকজন ভয়ে ছিল। এলাকায় আসতে পারছিলো না। পুলিশ ক্যাম্প দেয়ার পর আজ এলাকায় ঢুকছিল। পথে বাগবাজার নদীর ঘাটে আমিসহ তাদের এলাকায় নিরাপদে পৌঁছে দিতে আসলাম। কিন্তু চেয়ারম্যানের ভাইসহ তাদের গ্রুপের লোকজনের হামলায় কামরুল মারা গেছে। আরও ছয়জনের অবস্থা খারাপ। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। 

চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, তারা আমার ভাইকে মেরেছে। আজ আবার এলাকায় ঢোকার সময় তাদের প্রতিহত করে গ্রামবাসী। এতে নিরীহ কামরুল ছেলেটা আহত হয়। পরে কাইয়ুম গ্রুপের লোকজন তাকে পিটিয়ে মেরেছে। আমাদের লোক জড়িত নয়। 

মেঘনার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, একজন নিহতের খবর সঠিক। পূর্বের একটি মার্ডারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here