কুমারখালীতে পদ্মায় নিখোঁজ শিশু আরিয়ান, উদ্ধারে ডুবুরি দল

0
কুমারখালীতে পদ্মায় নিখোঁজ শিশু আরিয়ান, উদ্ধারে ডুবুরি দল

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে খেলতে গিয়ে আরিয়ান নামে চার বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ আরিয়ান ওই গ্রামের কৃষক আমানুল্লাহ বিশ্বাসের ছেলে।

ঘটনার পর রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী বিভাগের ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ।

স্থানীয় সূত্র ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, পদ্মানদীর কোল ঘেঁষা ঘোষপুর গ্রামে বসবাস করেন কৃষক আমানুল্লাহ বিশ্বাস। শনিবার সকালে তিনি পদ্মার কোল পাড়ি দিয়ে নদীর ওপারে জমিতে চাষ করতে যান। এ সময় তার চার বছরের ছেলে আরিয়ান বাবার সঙ্গে যেতে চায়। স্বজনরা তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে রেখে দেন। পরে খেলতে দেওয়ার জন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে পরিবারের সদস্যরা আরিয়ানকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নদীর পাশেও খোঁজ চালানো হয়। পরবর্তীতে পাবনা ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

এদিকে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে পদ্মা নদীতে উদ্ধার অভিযানে নামে রাজশাহীর ডুবুরি ইউনিট। তবে দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ আরিয়ানের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট লিডার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ৬ সদস্যের ডুবুরি দল নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি। নদীতে কিছুটা স্রোত রয়েছে, তাই উদ্ধার কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এখনো শিশুটির সন্ধান মেলেনি, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আরিয়ানের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে পদ্মা নদীর কোল এলাকায় উৎসুক জনতা ও স্বজনদের ভিড়। নদীতে তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

আরিয়ানের দাদা বাদশা বিশ্বাস বলেন, ‘সকালে আমার ছেলে জমিতে কাজ করতে গিয়েছিল। নাতি কাঁদতে শুরু করে, যেতে চায় বাবার সঙ্গে। পরে কিছুটা সময় খেলার জন্য তাকে ছাড়লে সে আর ফিরে আসেনি। প্রায়ই সে নদীর ধারে খেলত। হয়তো খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে গেছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা রওশন মালিথা বলেন, ‘দুপুর একটার দিকে আরিয়ানকে নদীপাড়ে খেলতে দেখি। তখন তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলি। পরে শুনি আর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’

চরসাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সকালে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি খেলতে গিয়ে নদীতে ডুবে গেছে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here