কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ জুড়ে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। দিনভর সূর্যের আলো না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা দিনে ও রাতে একই থাকছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির ফোটার মত ঝড়ছে কুয়াশা। টানা শৈত্য প্রবাহের কারনে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে ঘরের লেপ ও কাঁথার ভেতর থেকে বের হচ্ছেন না।প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে যারা বের হন তারাও অত্যন্ত নিরাপত্তার সাথে গরম কাপড় মুড়ে বের হন। যাদের সামর্থ্য নেই শীত বস্ত্রের তারা ফুটপাতের ছোট ছোট দোকানগুলোতে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন। প্রয়োজন অতিরিক্ত শীত বস্ত্র।নদী পাড়ের অনেক মানুষ যারা হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে। একদিকে শীতের কুয়াশা অন্যদিকে হিমের বাতাস। অন্যদিকে,অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাবে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন শিশু ও বৃদ্ধ রোগী ভর্তি হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৬০ হাজার কম্বল জেলার ৯ উপজেলায় বিতরণ করা হলেও অনেকেই এখনও শীতবস্ত্র না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।