কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিনের শীতে জেলাব্যাপী জুবুথুবু অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে গত ৩ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় উত্তরের এ জনপদের মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। দিনের বেলায়ও সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও টিপ টিপ করে কুয়াশা বৃষ্টির মত পড়ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় হাত পা কুঁকড়ে যাওয়ায় ঘর হতে বের হতে পারছে না শ্রমজীবীরা। ঠান্ডার প্রভাবে রাস্তায় বেরিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গবাদি পশুগুলোরও কষ্ট বেড়েছে অতিরিক্ত ঠান্ডায়। শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট এখন চরমে। এদিকে, জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
জেলায় তীব্র শীতে কষ্টে থাকা মানুষদের অনেক এলাকায় এখনও সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ের শীতবস্ত্র না পৌঁছায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সদর উপজেলার চর সিতাইঝার এলাকার কৃষক আব্দুল বাতেন বলেন, আমাদের চরাঞ্চলে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় বেশ কষ্ট হচ্ছে। হিম বাতাসে বোরো বীজতলা ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জমিতে বোরো চাষের প্রস্তুতি নিতে পারছিনা অতিরিক্ত ঠান্ডায়।
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, এ পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের জন্য ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।আশা করি বরাদ্দ পেলে সকল শীতার্তদের কম্বল বিতরণ করা যেতে পারে।