কুড়িগ্রামে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৭.৫ ডিগ্রি

0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : 

কুড়িগ্রামে মাঘের শীতের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছে জেলার মানুষ। মঙ্গলবার সকালে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এ পর্যন্ত এ বছরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিকে, জেলায় এখন মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারনে এবং এ তাপমাত্রায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪ দিন ধরে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

অন্যদিকে, প্রচণ্ড শীতে উত্তর এ জনপদে এখন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে গোটা জনজীবন। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা কাবু করে দিয়েছে মানুষের চলাচল ও কর্মযজ্ঞ। মোটা কাপড় পরিধান করেও কনকনে ঠাণ্ডাকে লাগাম দেয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং বিকেল থেকে চলতে থাকে ঠাণ্ডার দাপট। সাথে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া। 

এ পর্যায়ে বাইরে চলাচল করা দুরূহ  হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। শীতার্ত মানুষ শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নেয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। কাজে যেতে না পেরে তাদের এখন সংকট দেখা দিয়েছে। 

জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশিসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৫০-৬০ জন রোগী। অন্যদিকে, শিশু ওয়ার্ডে ৪৪টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০-৯০ জন রোগী। অন্যদিকে, অতিরিক্ত কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শৈত্যপ্রবাহে বোরো আবাদ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে কৃষকরা জানান। ঠাণ্ডার কারনে জমিতে সেচ কিংবা চাষ দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বীজতলার কিছু কিছু হলুদাভ বর্ণ হয়ে উঠছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষকদের বোরো বীজতলায় স্প্রে করে বীজ রক্ষার পরামর্শ প্রদান করছে বলে উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here