কুড়িগ্রামে তীব্র শীত ও উত্তর দিকের হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পুরো জেলা ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে। রাতের কনকনে ঠান্ডায় লেপ-কম্বল দিয়েও শীত নিবারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
মানুষজন সকালে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন। কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার জেলা জজকোর্ট মোড়ের ফুটপাতের দোকানে যাত্রাপুর থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসা মহিতুল্লাহ জানান, প্রচণ্ড শীতে শিশুদের নিয়ে খুব কষ্টে আছেন। কম দামের গরম কাপড় কিনতে এলেও এ বছর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত চার দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে। শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানান, শীতার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ১৮ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দ্রুত এসব কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।

