কুড়িগ্রামের ওই শিক্ষার্থী ফেল নয়, নকলের দায়ে হয়েছে বহিষ্কার

0

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে শতভাগ ফেল করা একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম উঠে এসেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম। 

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর স. ম. আব্দুস সামাদ আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান।

পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’জন পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে ফরমফিলাপ করে। পরীক্ষার কয়েকদিন আগে একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অপরজন অংশগ্রহণ করলেও এক্সফেল হওয়ায় আমরা আগে থেকে ফলাফল জানতাম। তাই এ ফলাফলে আমরা অবাক হইনি। 

সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম পূর্ব কুমরপুর। এখানে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের। শিক্ষক সংখ্যা ৭ জন কর্মচারী ৪ জন। খাতাকলমে শিক্ষার্থী ২ শতাধিক। কিন্তু স্কুলে গড় উপস্থিতি ২০/২৫ জন শিক্ষার্থীর। তারপরও ক্লাস হয় না নিয়মিত। সকাল ১০টায় স্কুলের তালা খুললেও বন্ধ হয় দুপুরে যোহরের নামাজের আজান পড়লে। 

এ রকম অনেক তথ্য নিশ্চিত করেন এ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক রিয়াজুল হক। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, পূর্ব কুমরপুর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়টি নন এমপিওভুক্ত। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে রেজিস্ট্রেশন করে মাত্র দু’জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে আবার ১ জন পরিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। একজন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিলেও সে পাস করতে পারেনি। ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে কয়েকজন পরীক্ষার্থী পাস করলেও এবার শূন্য। এ নিয়ে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল হকের ফোন বন্ধ এবং বাড়িতে না থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন সরকার বলেন, আমি একই সঙ্গে ভোগডাঙ্গা আব্দুল করিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আমার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিয়াজুল হক। একই সঙ্গে রিয়াজুল হক পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সে স্কুলে যেতে পারে না কিন্তু খোঁজখবর রাখে। প্রায় ২০ বছর থেকে এমপিও না হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা হতাশ। পেটের দায়ে নানান কাজের সাথে যুক্ত হয়েছে। নিয়মিত ক্লাসও হয় না। ফলে এমন ফলাফল হয়েছে। ভবিষ্যতে ফলাফল ভালো করার জন্য বিশেষ নজর দেয়া হবে। 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম জানান, এ স্কুলের বিষয়ে বোর্ড ব্যবস্থা নিয়ে পাঠদান বন্ধ করতে পারেন। তদন্ত করে আমিও লিখব বোর্ড বরাবর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here