রেফারির পকেট থেকে প্রথমে বের হলো হলুদ কার্ড। কিন্তু ভিএআর দেখার পর বদলে গেল তার সিদ্ধান্ত। এবার তিনি দেখালেন লাল কার্ড। হতভম্ব কাসেমিরো মাঠ ছাড়লেন চোখে জল নিয়ে। তাকে সান্ত্বনা দিলেন স্বদেশী আন্তোনি। ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগরে দিলেন এরিক টেন হাগ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ প্রশ্নবিদ্ধ করলেন ভিএআর-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রবিবার (১২ মার্চ) সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৩৪তম মিনিটে কার্লোস আলকারাসকে ফাউল করার পর ওভাবে কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কাসেমিরো। গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে তারা।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এটা চূড়ান্ত অধরাবাহিকতা। ফুটবলাররা বুঝে উঠতে পারছে না, প্রক্রিয়াটা কী! এই সপ্তাহান্তে লেস্টার ও চেলসির খেলায় ভিএআর ভূমিকা রাখেনি, কিন্তু আজকে একইরকম ব্যাপারে ঠিকই প্রভাব রাখল। আজকে দুটি পেনাল্টি পরিস্থিতিতে ভিএআরকে দেখা গেল না। বিশেষ করে প্রথমটি তো স্পষ্ট ও নিশ্চিত হ্যান্ডবল ছিল। তাহলে প্রক্রিয়াটা কি?
প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে তিন ম্যাচের মধ্যে দুইবার লাল কার্ড দেখলেন কাসেমিরো। গত মাসে ক্রিস্টাল প্যালেসের উইল হিউজকে ফাউল করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। টেন হাগের মতে, কাসেমিরোর দায় কোনোটিতেই খুব একটা নেই। কাঠগড়ায় তুললেন তিনি ভিএআরকেই।
তিনি বলেন, আরেকটি জায়গাতেও অধারাবাহিকতা আছে। মৌসুমের শুরুতে রেফারিং নিয়ে বলা হয়েছিল, ‘আমরা প্রিমিয়ার লিগ, এখানে কঠিন ফুটবল হয় এবং আমরা সেই তীব্রতা দেখতে চাই।’ কিন্তু বাস্তবে কি হচ্ছে? ইউরোপিয়ান ফুটবলে পাঁচশর বেশি ম্যাচ খেলেছে কাসেমিরো, কখনও সরাসরি লাল কার্ড দেখেনি। এখানে এসে সে দুটি দেখে ফেলল। সে কঠোর ফুটবল খেলে তবে ন্যায্য পথেই খেলে। আজকেও খেলেছে, ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষেও। খুবই বিতর্কিত ব্যাপার।