ভারতের পাহেলগাঁওয়ের হত্যাকাণ্ডের পর কোন পথে এগোবে ভারতের তিন বাহিনী? তা নিয়ে বুধবার দুপুরে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানও।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে সর্বোচ্চ সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি হামলাকারীদের নির্মূল অভিযানকে আরও জোরদার করার জন্যও বলা হয়েছে। ওই বৈঠকের পরে রাজনাথ এক বিবৃতিতে জানান, শুধু হত্যাকারীদেরই নয়, পিছন থেকে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদেরও জবাব দেওয়া হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবারের হত্যাযজ্ঞে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা পর্যটক। ওই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে। আমরা শুধুমা এই হামলার অপরাধীদেরই নয়, পর্দার আড়ালে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেবো। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা শীঘ্রই এর জোরালো এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবে।”
মঙ্গলবার পাহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। হামলার দায়স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-তাইয়েবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি সংগঠন শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই লশকরের ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ।
পাহেলগাঁওয়ের ঘটনার থেকে ইতোমধ্যে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে পাকিস্তান। সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, পাহেলগাঁও হামলায় আমাদের কোনও হাত নেই।