দৈনিক কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বাদ জোহর ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভাধীন পার্বতীপুর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, মরহুমের গ্রামের বাড়ির আঙিনায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকগণসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
জানা যায়, আলী হাবিব ১৯৬৪ সালে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলফাজ উদ্দীন একজন ব্যাংকার ছিলেন ও মা রাহেলা খাতুন একজন গৃহিণী। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আলী হাবিব ছিলেন সবার বড়।
এর আগে, গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। বিকালে অফিসে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। সাংবাদিক আলী হাবিবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তার মৃত্যুতে আরও শোক জানিয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাদের গণি চৌধুরী, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের। শোক বার্তায় তাঁরা আলী হাবিবের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
গতরাতে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কম্পাউন্ডে (কালের কণ্ঠের অফিস প্রাঙ্গণে) তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাতেই তাঁর লাশ ঝিনাইদহের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়।
আলী হাবিব ১৯৯৩ সালে দৈনিক জনকণ্ঠে সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে যোগদান করেন। পরে ২০০১ সাল থেকে সহকারী সম্পাদক ও ফিচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘রঙ্গভরা বঙ্গদেশ’ ও ‘ঝিলিমিলি’ ফিচার পাতার বিভাগীয় সম্পাদক ছিলেন।
আলী হাবিব ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় কালের কণ্ঠের উপসম্পাদকীয় বিভাগে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখালেখিও করতেন।