গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কালামপুর এলাকায় সোমবার সকালে দুটি হাতি দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন ও দোকান থেকে চাঁদাবাজি করছেন হাতির মালিক। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালামপুর এলাকায় সোমবার সকালে চন্দ্রা থেকে সিনাবহ আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন যানবাহন ও বিভিন্ন দোকানপাটে দুটি হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন রিফাত হোসেন নামে এক মালিক। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতি। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় ভয়ে সেখান দিয়ে যেতে পারছে না শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহন। পিঠে ভাব নিয়ে বসে আছেন মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখাচ্ছে মাহুত। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরণ অনুযায়ী ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। ওই হাতিকে টাকা কম দিলে হাতির শুঁড় দিয়ে মানুষ হয়রানি করেন। হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করায় এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
হাতির মালিক রিফাত হোসেন নামে হাতির মালিক জানান, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির করার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
ওই এলাকার সজল মাহমুদ জানান, দুই হাতি দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি করছেন। হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করে আইনের আওতায় আনা উচিত। এতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করায় রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করার কোন নিয়ম নেই। ওই হাতিগুলোকে এখনই আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।