মিয়ানমারের কারাবন্দী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামোদউইনাই। একইসঙ্গে তিনি মিয়ানমারের সোনপ্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
কারাগারে বন্দী করার পর থেকে কেবলমাত্র নিজেদের লোক ব্যতীত আর কাউকে সু চির সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি জান্তা। এমনকি নেইপিদোর সামরিক আদালতের যেসব আইনজীবী সুচির পক্ষে লড়ছেন— তাদের সঙ্গেও নয়। আদালতের বাইরে ভিডিও কলের মাধ্যমে সুচির সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারতেন তারা। সেই হিসেবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রমোদউইনাই প্রথম ব্যক্তি, যিনি অভ্যুত্থান পরবর্তী কারাবন্দি সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরেছেন।
বৈঠক শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সু চির সঙ্গে সাক্ষাতের এই তথ্য জানিয়েছেন থাই মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি বৈঠক করেছি। তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা ভালো এবং বৈঠকটি চমৎকার ছিল।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরকারকে উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসীন হওয়া সামরিক সরকারের প্রধান হন জেনারেল হ্লেইং, আর সু চিকে নেইপিদোর একটি কারাগারে বন্দী করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ আনে জান্তা। রাজধানীর একটি সামরিক আদালতে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সেসব অভিযোগের বিচার শুরু হয়।
সেই বিচার এখনও চলছে এবং ইতোমধ্যে শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৮ বছর বয়সী এই গণতন্ত্রপন্থী নেত্রীকে ৩৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন সামরিক আদালত।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাক্ষাতে সু চি বলেছেন— তিনি মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে চান। আমি তাকে জানিয়েছি— এ ব্যাপারে থাইল্যান্ড এবং আসিয়ান জোটের দেশগুলো তাকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।’