বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন অব নোভাস্কসিয়ার (বিডিক্যান্স) উদ্যোগে ডন বেয়ার স্পোর্টস মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এশিয়ান কাপ টি-২০ এর ফাইনাল। টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়ন ও বাংলাদেশ রানার আপ হয়েছে। ফাইনালে ভারত ৫১ রানে বাংলাদেশকে পরাজিত করে। আলোক স্বল্পতার কারণে ম্যাচটি ১৮ ওভারে কমিয়ে আনা হয়।
নোভাস্কসিয়াতে বসবাসরত প্রবাসীদের নিয়েই মূলত এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। নোভাস্কসিয়ায় প্রথমবারের মতো ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে নিয়ে ত্রিদেশীয় রোমাঞ্চকর এবং স্মরণীয় টি-টোয়েন্টির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছিল এটি।
জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে রাজু ১৪, চিন্না ২১ ও ছোটনের ১৫ রান উল্লেখযোগ্য। ভারতের পক্ষে ওমর ৪ ও ভিকাশের ২ উইকেট উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ দলের চিন্না ম্যান অব দ্য সিরিজ, ছোটন সবচেয়ে বেশি উইকেট সংগ্রাহক হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন যথাক্রমে পাকিস্তানের অধিনায়ক নায়িম এবং ভারত দলের ম্যানেজার মুজিবের কাছ থেকে। ভারতের মান্ড সিং ম্যান অব দ্য ম্যাচ ট্রফি গ্রহণ করেন সেক্রেটারি জয়দিপ কুমার দের কাছ থেকে।
ডারট্মাউথ নর্থ স্থানীয় এমএলএ সুসান লেব্লাঙ্ক বাংলাদেশ অধিনায়ক কবিরকে রানার আপ ট্রফি প্রদান করেন। ইস্ট হান্টের এমএলএ জন মাকডনাল্ডের কাছ থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করেন ভারতের অধিনায়ক মোহাম্মাদ শাফি। ডার্টমাউথ মসজিদের ইমাম হামজা মাঙ্গেরার কাছ থেকে ট্রফি নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক নায়িম।
স্থানীয় বাংলাদেশের সিনিয়র জসীমের কাছ থেকে ট্রফি নেন বাংলাদেশের ২য় দলের অধিনায়ক হাসিব খান। বিডিক্যান্সের চেয়ারপারসন মো. গোলাম কিবরিয়া সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন এমএলএ সুসান লেব্লাঙ্ক এবং ডার্টমাউথ মসজিদের ইমাম হামজা মাঙ্গেরাকে। ফাইন্যান্স সেক্রেটারি আহসানুল হক ইস্ট হান্টের এমএলএ জন মাকডনাল্ডকে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পারফম্যান্স সবার হৃদয় জয় করে। বাংলাদেশ দলের দর্শকরা ফাইনালের দিন পুরো মাঠে উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে।
বিডিক্যান্সের চেয়ারপারসন মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, নোভাস্কসিয়ায় আমাদের সংগঠন বহু সংস্কৃতির পাশাপাশি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে এরকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারব।